আজ ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস। গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের এই দিনে পদত্যাগ করেন তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এই দিনে তিনি অস্থায়ী সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এর মাধ্যমে অবসান হয় ৯ বছরের স্বৈরশাসনের। মুক্তি পায় গণতন্ত্র। সামরিক আইন জারির মাধ্যমে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ক্ষমতা দখল করেছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ।
বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামীসহ বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর টানা আন্দোলনের মুখে এইচএম এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। ২০২০ সালের ১৪ জুলাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ। ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে দিবসটি পালন করে আওয়ামী লীগ। আর ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে পালন করে বিএনপি। ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে দিনটি পালন করে স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদের দল জাতীয় পার্টি। স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণী দিয়েছেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৯০ সালের এ দিনে দীর্ঘ ৯ বছরের রক্তস্নাত আন্দোলনের পর পতন ঘটেছিলো স্বৈরশাসনের। যে স্বৈরশাসক এরশাদ ‘৮২’র ২৪ মার্চ পেশাগত বিশ্বস্ততা ও শপথ ভেঙ্গে বন্দুকের নলের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্র নস্যাৎ ও সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজনীতি স্তব্ধ করেছিলেন। যে সাংবিধানিক রাজনীতি ছিল বহুপাক্ষিক ও বহুদলীয়। যার পুনঃপ্রবর্তন করেছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। স্বৈরাচারী এরশাদ একে একে সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ধারাকে করেছিল বাধাগ্রস্ত। দীর্ঘ নয় বছর গণআন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ‘৯০-এর ৬ ডিসেম্বর এই দিনে ছাত্র-জনতার মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিলো গণতন্ত্র।
স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র গণআন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।