ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ব্যবসায়ী গৌতম আদানি রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয় না হলেও তারা ভাই ভাই হিসেবে পরিচিত। কারণ তাদের মাঝে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একটা সম্পর্ক রয়েছে। দুইজন মিলে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মাধ্যমে এই দেশকে এক ধরনের জিম্মি করে ব্যবসা করতে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে তারা ব্যবসায়ের নামে বাংলাদেশ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়। ভারতীয় মিডিয়ায় প্রায় সময় মোদী আদানিকে একত্র করে ‘মোদানি’ নামে সম্বোধন করতে শোনা যায়, আর বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের মুখে প্রায় শোনা যায় ‘মোদী আদানি ভাই ভাই দেশ বেচকে খায়ে মালাই!’ যদিও বিষয়টি একান্তই হাস্যরসের তবে এর মধ্যে রয়েছে কিছু চমকপ্রদ ও বিস্ময়কর তত্ত্ব।
জানা গেছে, ২০১৫ সাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম বাংলাদেশ সফর ছিল। শেষবার ২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশ সফরে আনে। তবে সেসময় তার আগমনে ঢাকার বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষোভ এবং সমাবেশ হয়। প্রথমবার তিনি পেয়েছিলেন বিপুল অভ্যর্থনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবল করতালিতে তাকে স্বাগত জানানো হয়েছিল। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ভারতের বেসরকারি কোম্পানি প্রবেশের পথ সুগম করেছিল এই সফর। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা অর্জনের প্রচেষ্টাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সমর্থন করেছিলেন।
সেই সময় মোদির সফর সঙ্গে ছিলেন আদানি পাওয়ার ও রিলায়েন্সের প্রতিনিধিরা। মোদি ভারতীয় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে প্রবেশের পথ সুগম করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সেই সময় আদানি ও রিলায়েন্স বাংলাদেশকে দুইটি প্রস্তাব দেয়। বাংলাদেশ ভূখ-ের ভেতরে ৩০০ কোটি ডলার খরচ করে ৩০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা করে। অন্যদিকে আদানি পাওয়ার এক অভিনব প্রস্তাব দেয়। তারা ভারতের মাটিতে একটি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে। সেখানে উৎপাদিত বাংলাদেশে রপ্তানি করতে চায় গ্যাস।
সরবরাহে অনিশ্চয়তার কারণে রিলায়েন্স পাওয়ারের প্রকল্পটি থেমে গেলেও আট বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে দিয়েছে আদানি পাওয়ার। একটি বেসরকারি গবেষণার রিপোর্টে উঠে এসেছে আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি বাংলাদেশের জন্য।
যা ভয়ানক আর্থিক বোঝা। আগামী ২৫ বছরে বাংলাদেশকে এই প্রকল্পের জন্য ১১ বিলিয়ন ডলার ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। যা দিয়ে তিনটি পদ্মা সেতু বা নয়টি কর্ণফুলী টানেল তৈরি করা সম্ভব। চুক্তিটি এমনভাবে তৈরি যে বাংলাদেশকে বাল্ক ইলেকট্রিসিটির বাজারের চেয়ে অন্তত পাঁচ গুণ বেশি দামে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এর চেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় চুক্তিতে ২৫ বছরের লক ইন পিরিয়ড রাখা হয়েছে। যা আন্তর্জাতিক মানদ-ের সম্পূর্ণ বিরোধী অধিকাংশ পাওয়ার পারচেস এগ্রিমেন্টে বাজারের অস্থিতিশীলতার কারণে লক ইন পিরিয়ড কয়েক বছরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়। অথচ এখানে বাংলাদেশ সরকার আদানীকে রাষ্ট্রীয় ও সার্বভৌম গ্যারান্টি দিয়েছে যে পরবর্তী ২৫ বছর গোড্ডায় উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটা বাংলাদেশ কিনে নেবে। এই চুক্তি শুধু আর্থিক শোষণের উদাহরণ নয় বরং এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আরেকটি ভারি চাপ এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি। কিছুদিন আগে ৮৫ কোটি ডলার বকেয়া ইস্যুতে আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার পর বাংলাদেশে বিদ্যুৎপরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। পরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার লেটার অফ ক্রেডিট দিয়ে পরিস্থিতি সামলে নেওয়া হয় প্রশ্ন উঠেছে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হবে কিনা। অন্যদিকে ভারতেও আদানি এবং নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক ব্যাপক সমালোচিত শেখ হাসিনা সরকারের সাথে। প্রাথমিক সমযোতা হতে না হতেই পূর্ব ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে আদানি পাওয়ার তাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্থানীয় আদিবাসীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে জমি দখল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বড় অংকের সরকারি ঋণ স্পেশাল ইকোনমিক জোনের সুবিধা প্রদানসহ আদানিকে নানা অনৈতিক সুবিধা দেয়। মোদী সরকার আদানি গোষ্ঠীকে এভাবে বছরের পর বছর নিয়ম বদলে সুবিধা দেয়া এবং বিপদে বেইল আউট করার ঘটনা ভারতের ইতিহাসেও বিরল।
বিশ্লেষকদের মতে, গোডা থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের মতো বিতর্কিত ও বেনোজির বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভারতের ইতিহাসে সম্ভবত আর একটিও তৈরি হয়নি। সে ভারতীয় জনতা পার্টি চালতি অফ ডিলস সেক্টরস ফ্রম ডিফেন্স টু এয়ারপোর্টস টু অলমোস্ট অলওয়েজ টু দিন গত বছরের শুরুতে হিন্দেনবার্গ রিপোর্টে আদানী গোষ্ঠীর বহু আর্থিক কেলেংকারী ফাঁস হওয়ার পর ভারতের পার্লামেন্ট বাজেটের অধিবেশনে স্লোগান উঠেছিল মোদি আদানি ভাই দেশ বেচকে খায়ে মালাই। যার কারণ ২০১৪ তে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই গুজরাটের একজন মাঝারি মাপের শিল্পপতি যার কোম্পানির মোট টার্নওভার ছিল ৮ বিলিয়ন ডলার। তা মাত্র আট বছরের মধ্যেই প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়। আদানি শুধু বাংলাদেশ নয় নরেন্দ্র মোদির ছায়াসঙ্গী হয়ে তিনি কানাডা অস্ট্রেলিয়া ব্রাজিল জাপানসহ বিশ্বের বহু দেশে বড় বড় প্রকল্প বাগিয়ে নেয়। সেসব দেশে ব্যবসা শুরু করে ভারতের বিরোধী দলগুলো এই দুজনের নাম সন্ধি করে মোদানী বলে ডাকে সম্প্রতিক গৌতম আদানের বিরুদ্ধে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে যা তার ১৬৯০০ কোটি ডলারের সাম্রাজ্য ও ভারতের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এসব অভিযোগে ইতোমধ্যেই তার কোম্পানির বাজার মূলধন ৩৪০০ কোটি ডলার কমে গিয়েছে। এছাড়া আদানের বিভিন্ন দেশে প্রকল্পগুলো ঝুঁকির মুখে রয়েছে ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করছে আদানিকে গ্রেপ্তারের দাবিও করেছেন বিরোধী নেতা রাহুল।
গান্ধী আদানি গোষ্ঠী অভিযোগ অস্বীকার করলেও এই সংকট ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্পে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার প্রসঙ্গে আদানি বলছে তাদের সংস্থার বিরুদ্ধে। যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। যে বিদ্যুৎ বাংলাদেশের কাছে বেচা হচ্ছে সেটা হচ্ছে একটা ফিনিশড প্রোডাক্ট এবং এর উৎপাদনের কোনো ঝুঁকিও বাংলাদেশকে পোহাতে হচ্ছে না। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটা ভারতের মাটিতে অবস্থিত তার বিনিয়োগও সম্পূর্ণ আদানের এখান থেকে যেটুকু দূষণ সেটাও বাংলাদেশকে সামলাতে হচ্ছে না তারা শুধু তৈরি পণ্যটা কিনছে যার দাম একটু বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক।অন্যদিকে ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ আলী আরাফাত আদানীর সঙ্গে করা চুক্তি প্রসঙ্গে বলেন বাংলাদেশের ভেতরে যদি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানানো হতো তাহলে এই ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে বিশাল আকারের জমির ব্যবস্থা করতে হতো। কয়লা পুড়ে বাংলাদেশের আকাশে ছড়িয়ে পড়তো এছাড়াও সরকারকে পুরো টাকা এককালীন বিনিয়োগ করতে হতো। তার মতে বাংলাদেশে উৎপাদনের চাইতে অনেক কম মূল্যে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করা হয়েছে। এরা একটু বলে দেক এই বাংলাদেশের ভিতরে ১৬ টাকার নিচে কীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব সম্প্রতি আদানি পাওয়ার প্লান্টের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
গত ১৩ নভেম্বর বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপের সঙ্গে হওয়া সব চুক্তি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। রিটে এই চুক্তিকে দেশের স্বার্থবিরোধী উল্লেখ করা হয়েছে আদানি গ্রুপের সাথে যে দর কষাকশি হয়েছিল। সেই দর কষাকশি সংক্রান্ত যত মিনিট আছে এবং যত আপনার তথ্য উপাত্য আছে ডকুমেন্টস আছে। সেগুলো এক মাসের মধ্যে আদালতের সামনে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এই চুক্তিটির সব টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস আমাদের দেশের স্বার্থপরিপন্থী কি কি আছে সেইগুলো বিশ্লেষণ করে আদালতের কাছে দুই মাসের মধ্যে একটা রিপোর্ট জমা মোদি-হাসিনার অবৈধ সংযোগ, বাংলাদেশের সম্পদ লুটের ইতিহাস। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ২০১৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম সফর করেন। মোদির প্রথম সফরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া অভ্যর্থনা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল এই যাত্রা। তবে এই সফরগুলোর মাধ্যমে কীভাবে ভারতের বেসরকারি সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে আর্থিকভাবে সংকটে ফেলেছে, তা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। মোদির সঙ্গে আদানি গ্রুপ এবং রিলায়েন্স পাওয়ারের মতো ভারতীয় কর্পোরেট প্রতিনিধিদের উপস্থিতি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ভারতের প্রবেশের কৌশল ছিল। আদানি গ্রুপের প্রস্তাব অনুযায়ী, ভারতের ঝাড়খ-ে একটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশে রপ্তানি করা শুরু হয়। আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তি অনুসারে, আগামী ২৫ বছরে বাংলাদেশকে ১১ বিলিয়ন ডলার ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। এই বিশাল পরিমাণ অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ তিনটি পদ্মা সেতু বা নয়টি কর্ণফুলি টানেল তৈরি করতে পারত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আদানি বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ কেনার শর্তাবলি আন্তর্জাতিক মানদ-ের পরিপন্থী। বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশকে বাজার মূল্যের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। এর চেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, এই চুক্তির লক-ইন পিরিয়ড ২৫ বছর, যা আন্তর্জাতিক মানদ-ের বিরোধী এবং দেশের আর্থিক সার্বভৌমত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি। মোদির সরকার আদানি গ্রুপকে নিয়ম বদলে একের পর এক সুবিধা দিয়েছে। গুজরাটের মাঝারি মানের শিল্পপতি থেকে আদানি মাত্র আট বছরে ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন। হিনডেনবার্গ রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পরও মোদির সঙ্গে আদানির সম্পর্ক নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। ভারতীয় বিরোধী দলগুলো মোদি-আদানি জোটকে ব্যঙ্গ করে ‘মোদানি’ বলে অভিহিত করেছে। আদানি বিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি রিট গ্রহণ করেছে। চুক্তিতে দেশের স্বার্থের পরিপন্থী শর্তাবলি বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী চুক্তি বাতিলের দাবি করেছেন, যা দেশের বিদ্যুৎ খাতকে আবার স্বাধীন করতে পারে।
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আদানি গ্রুপ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে প্রবেশ করে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক লুটপাট চালায়নি, বরং শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার ফলে সম্প্রতি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে: মোদি-হাসিনা জোট কি সত্যিই দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে, নাকি এটি ছিল একটি লুটপাটের আয়োজন? বাংলাদেশ কি আদানি গোষ্ঠীর মতো সংস্থার শোষণের শিকার হয়েই থাকবে, নাকি সময় এসেছে এই চুক্তিগুলো পুনর্বিবেচনা করার? সূত্রঃ মাছরাঙ্গা টিভি