খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদযাপন ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আতশবাজি, পটকা ফোটানোয় শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন, মো. ফারহান (৮), মো. সিফান মল্লিক (১২), সুমাত (২০), মো. সেন্টু (৪৫) ও তফসির (৩)। নাটোরের বড়াইগ্রামে বন্ধুদের সঙ্গে বর্ষবরণের সময় ছাদ থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র প্রাণ হারিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পরপরই এসব ঘটনা ঘটে। দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসলে একজনকে ভর্তি করা হয়, বাকি চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটাতে গিয়ে শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। এখানে পাঁচজন এসেছে। তাদের মধ্যে ফারহানের শরীরের ১৫ শতাংশ, সিফান মল্লিকের ১ শতাংশ, সুমাতের ১ শতাংশ, সেন্টুর ২ শতাংশ ও তফসিরের ২ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ফারহানকে ভর্তি করা হয়েছে ও অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বর্ষবরণের সময় ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু: নাটোরের বড়াইগ্রামে বন্ধুদের সঙ্গে বর্ষবরণের সময় ছাদ থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র প্রাণ হারিয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌর শহরের অফিসপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম।
নিহত ইসতিয়াক হোসেন (১৬) বনপাড়া পৌর শহরের কালিকাপুর মহল্লার ইকবাল হোসেন বাবুর একমাত্র ছেলে এবং
বনপাড়া সেন্ট যোশেফস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের বাবা ইকবাল হোসেন বলেন, “ইসতিয়াক থার্টিফার্স্ট নাইট পালনের জন্য তার বন্ধু অনির বাড়ি গিয়েছিল। সেখানে অনির দাদা শফিউল্লাহ ওরফে শফি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির তিন তলায় বন্ধুদের সঙ্গে গান-বাজনা ও খাবারের আয়োজন করে। “রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইসতিয়াক পাশের ছাদে যাওয়ার জন্য লাফ দিলে পা পিছলে নিচে পড়ে যায়। পরে বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।” পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।