অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুস বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির অহংকার ও বিশ্বাসের জায়গা। এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ‘প্রশিক্ষণই সর্বোত্তম কল্যাণ’ এই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আভিযানিক দক্ষতা অর্জন করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা যুদ্ধের জন্য সেনাসদস্যদের প্রস্তুত রাখতে হবে।
তাই, আভিযানিক দক্ষতা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্ব অর্জনে সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষণ হতে হবে বাস্তবসম্মত। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণের এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলবে।
গতকাল রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ৫৫ পদাতিক ডিভিশন আয়োজিত রাজবাড়ী সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় ‘সেনাবাহিনীর ম্যানুভার অনুশীলন-২০২৪/২৫’-এ একটি পদাতিক ব্রিগেড গ্রুপের অনুশীলনে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী সেনাসদস্যদের দক্ষতা ও উঁচুমানের প্রশিক্ষণের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অনুশীলনস্থলে আগমন করলে তাকে অভ্যর্থনা জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, যশোর এরিয়া মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান রাজবাড়ী সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় সেনাসদস্যদের অবস্থানের জন্য প্রশাসনিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে সেনাবাহিনী প্রধান রাজবাড়ী সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজবাড়ী সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় সেনাবাহিনীর ম্যানুভার অনুশীলন: ৫৫ পদাতিক ডিভিশন কর্তৃক আয়োজিত রাজবাড়ী সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় সেনাবাহিনীর ম্যানুভার অনুশীলন- ২০২৪/২৫ এ একটি পদাতিক ব্রিগেড গ্রুপ এর অনুশীলন প্রত্যক্ষ করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর অন্তর্বতীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অনুশীলন স্থলে আগমন করলে তাকে
অভ্যর্থনা জানান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি; নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, ওএসপি, এনপিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি; বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি এবং জিওসি, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, যশোর এরিয়া মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল। প্রায় ১ ঘন্টা ব্যাপী উক্ত অনুশীলনে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাসদস্যগণ বাস্তবসম্মত যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আক্রমণ অনুশীলন সফলভাবে পরিচালনা করেন। উক্ত অনুশীলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন প্রকারের অত্যাধুনিক ট্যাংক, এপিসি, গোলন্দাজ বাহিনীর কামান, পদাতিক, ইঞ্জিনিয়ার্স ও কমান্ডোসহ সকল আর্মস এবং সার্ভিসেস অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও, উক্ত মহড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান, আর্মি এভিয়েশনের বিমান এবং হেলিকপ্টার অংশগ্রহণ করে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অনুশীলন অবলোকন শেষে সমাপনী বক্তব্যের শুরুতেই মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির অহংকার ও বিশ্বাসের জায়গা। এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ‘প্রশিক্ষণই সর্বোত্তম কল্যাণ এই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আভিযানিক দক্ষতা অর্জন করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা যুদ্ধের জন্য সেনাসদস্যদের প্রস্তুত রাখতে হবে। তাই আভিযানিক দক্ষতা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্ব অর্জনে সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষণ হতে হবে বাস্তবসম্মত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণের এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলবে। পরিশেষে, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী সেনাসদস্যদের দক্ষতা ও উঁচুমানের প্রশিক্ষণের প্রশংসা করেন। এসময় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাথে অন্যান্য উপদেষ্টা, সশস্ত্র বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং গণ্যমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।