শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

চকরিয়া মাতামুহুরী শাসনে জিও ব্যাগ অপ্রতুল ডাম্পিংঃ ভাঙন ঝুঁকিতে কইন্যার কুমবাসী

মনির আহমদ কক্সবাজার :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০

চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর কোনাখালী-বিএম চর সীমানার কইন্যার কুমের নদী শাসনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ২শ মিটার ভাঙ্গন প্রতিরোধে বস্তা ডাম্পিং কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে নিয়োজিত ঠিকাদার ও পাওবো’র পরিদর্শকের যোগসাজসে ডাম্পিং এলাকার জিইও ব্যাগ চুরি এবং প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট না করে কম ব্যাগ ডাম্পিং ঝুঁকিপুর্ণ এ এলাকাটি আরো আতংকের জন্ম দিচ্ছে। সরজমিনে জানা যায়, চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর বিএমচর-কোনাখালী সীমানায় প্রতিবছর বর্ষায় কইন্যার কুমে বন্যার তোড়ে বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে বন্যায় কবলিত হয় বিএম চর সহ ৭ টি ইউনিয়নের ব্যাপক এলাকার ঘর-বাড়ী। নিমজ্জিত হয় ফসলাদি। বন্য কবলিত এলাকার ব্যাপক ক্ষতি বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বেড়ীবাধ পুনঃসংস্কার, নির্মান ও ব্লক বসানোর পরিকল্পনা করেন। তারই প্রেক্ষিতে বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ হাজার বালির জিইও ব্যাগ ডাম্পিং করার অনুমোদন দেন সরকার। যথা নিয়মে অজ্ঞাতনামা ঠিকাদার দিয়ে কাজ সমাপ্তও করেন কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ভাঙ্গন এলাকায় বেড়ীবাঁধে মাটি ভরাট করে টেকসই করা হয়নি। যেখানে বেড়ীবাঁধ ১২ ফুট থাকার কথা সেখানে আছে মাত্র ৩ ফুট বা তারও কম। ডাম্পিং এ যে ব্যাগ ব্যবহার হয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে কাজের পরেও বেড়ীবাঁধ নিয়ে শংখা কাটেনি সুবিধাভোগী এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে ঝুঁকি এলাকায় বসবাসকারী মাষ্টার মোহাম্মদ হোছাইন, আবু ইউসুফ, নুরুল হোছাইন, প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াদুল ইসলাম সেলিম মেম্বার সহ বেশ কয়েকজন জানান, টেকসই বেড়ীবাঁধের জন্য মাটির কাজ করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। বেড়ীবাঁধের চুড়া নুন্যতম ১২ ফুট করা না হলে বানের পানির তোড়ে ফের ভেঙ্গে যাবার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁরা বেড়ী বাঁধকে ঝুঁকিমুক্ত করতে মাটি ভরাট করার আবেদন জানান। এ ব্যাপারে তারা স্থানীয়, জনপ্রতিনিধি, চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলম বিএ (অনার্স) এমএ সহ পানি উন্নয়ন বোড়র্ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী জানান, চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর কন্যারকুম এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ন এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে ভাঙ্গন এলাকায় জিইও ব্যাগের ডাম্পিং শেষ করা হয়েছে। ডাম্পিং এ অনিয়মের প্রশ্নে তিনি কোন ত্রুটি হয় নাই বলে দাবী করেন। তিনি আরো জানান, সরকারের কাছে আরো বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্ধে মাটির কাজ সহ ব্লক বসিয়ে টেকসই করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বাকীটা বরাদ্ধের উপর নির্ভর করছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com