নাটোরের বড়াইগ্রামে শুরু হয়েছে ৩দিনব্যাপী কৃষি মেলা। তবে এই কৃষি মেলায় কৃষকদের সম্পৃক্ততা না থাকায় কৃষকসহ সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র ১৫০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে ঘেরা প্যান্ডেলের মোট ৭ টি স্টলের মধ্যে ৫টি স্টলই কৃষি মেলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জ্যপূর্ণ নয়। বাকি ২টির মধ্যে ১টি খাবার স্টল ও ১টিতে মেলা সংশ্লিষ্ট প্রদর্শনী হলেও গাছগুলো নির্জীব থাকায় তা দেখতে উদ্ধুদ্ধুবান্ধব নয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস। উদ্বোধনের সময় কৃষি অফিসের ২০-২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত থাকলেও পরবর্তীতে সারাদিনে তেমন কোন দর্শনার্থীকে দেখা যায়নি। তবে উৎসুক ২-৪ জন পথচারীকে মাঝে-মধ্যে মেলায় স্টল ঘুরে দেখতে দেখা গেছে। মেলায় অংশ নেওয়া মিন্টু নার্সারীর মালিক মিন্টু আলী জানান, তার মতোই তপবন নার্সারী, বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন, সাদিয়া ফারমার্স হাব , বড়াইগ্রাম নারী উন্নয়ন সংগঠন মেলায় স্টল নিয়েছে মূলতঃ গাছ-চারা, খাবার, বন্ধু চুলা বিক্রি করতে। মেলায় উপস্থিত স্থানীয় সাংবাদিক জাহিদ হাসান বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি মেলার জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট ১ লক্ষ টাকা। কিন্তু এই টাকা পুরোটাই গচ্চা যাবে। কারণ কন্দাল ফসল সংক্রান্ত মেলা বলা হলেও কন্দাল ফসল উদ্ধুদ্ধুকরণে তেমন প্রদর্শনী নাই এবং একটি কৃষকেরও সম্পৃক্ততা নাই। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মারফুদুল হক জানান, কৃষি মেলা নিয়ে সাংবাদিকরা যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন তা আমি আমলে নিয়েছি। দ্রুত এর সংশোধনী ও উন্নয়ন ঘটানো হবে।