মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ন

কক্সবাজারের রত্নাগর্ভা মা রিজিয়া আহমেদ অসুস্থ

শেফাইল উদ্দিন ককসবাজার সদর :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০

ককসবাজারের রত্নাগর্ভা, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম খালেকুজ্জামান ও ইঞ্জিনিয়ার মো. সহিদুজ্জামানের মা রিজিয়া আহমেদ গুরুতর অসুস্থ। ১৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউতে) ভর্তি আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মো. সহিদুজ্জামান। মায়ের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে ১৭ নভেম্বর সকালে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন ইন্জিনিয়ার মো. সহিদুজ্জামান। “আমার আম্মার মত নরম, সরল, উদার ও মমতাময়ী খুব কম পাওয়া যাবে।বাবার মৃত্যুর পঞ্চাশ বছর ধরে আমরা চার ভাই একবোনকে শত ঝড়ঝাপটার মধ্যে আগলে রেখেছেন।তখন আম্মার বয়স চল্লিশ বছর। আম্মা রাতে প্রায়ই কাঁদতেন। তখন বুঝতাম না, আসলে তখন থেকেই আম্মার Depression শুরু। দ ‘বেলা ঠিকমত খাওয়া জুটেনি। কিন্তু আমাদেরকে বুঝতে দেন নি।শুধু আমাদের লেখাপড়া করার ব্যাপারে তিনি জীবনের সবকিছু sacrifice করেছেন। একে একে আমরা সবাই প্রতিষ্ঠিত হলাম। রত্নাগর্ভা মা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন। এর মধ্যে আমাদের পরিবারের সবচেয়ে প্রতিভাবান ভাই খালেকুজ্জামান ২০০১সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন। স্বামীর মৃত্যুর ত্রিশ বছর মেঝ সন্তানকে হারানোর তীব্রতা সহ্য করা কত কঠিন যারা হারিয়েছেন তারাই বুঝতে পারবেন। বড় ভাই আমেরিকা ১৯৭৮ সাল থেকে বসবাস করেন। সেঝ ভাই ১৯৯১ থেকে অস্ট্রেলিয়া থাকেন। আমি আর আমার ছোট বোন থাকি। করোনা শুরু হওয়ার আগে পযর্ন্ত আমি গত তের বছর আম্মার সাথে প্রায় প্রতিদিন সময় কাটাতাম। হেটে বোনের বাসায় যেতাম শুধু আম্মার সাথে সময় কাটানোর জন্য। ভাইরা ১/২ বছর পর পর আসেন। আর প্রতি সপ্তাহে ফোনে কথা বলেন।করোনা শুরু হওয়ার পর আমি আর যেতাম না। কারণ, আমি মসজিদ অফিস সবখানে যাই। গত ছয়দিন আগে পড়ে গিয়ে হাতের গোড়ায় Fracture হয়। বুধবার দেখতে গিয়েছিলাম। ডাক্তার ঠান্ডা ব্যাগ দিয়ে ব্যাথার জায়গায় দিতে বলেছেন। এর কারনে কিছুটা ঠান্ডা লাগে। পরশু করোনা টেস্ট করা হল তাতে নেগেটিভ আসে। ১৬ তারিখ রাতে শ্বাসকস্ট শুরু হলে বাসায় অক্সিজেন দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়াতে Evercare Hospital এ বসবৎমবহপু নিয়ে যাওয়া হয় রাত ৯ক্স৩০ দিকে। পরীক্ষা করার পরই উনাকে ওঈট নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার বলেছেন নিউমোনিয়া এবং ফুসফুস বেশি আক্রান্ত হয়েছে। অক্সিজেন দিয়ে রেখেছে একটু সরালে তরতর করে নেমে যাচ্ছে। সর্বশেষ Blood pressure অনেক কমে গিয়েছে। জ্ঞান নাই। ডাক্তার বহু চেস্টা করেছে কিন্তু কোন response নাই। আজকে আবার করোনা টেস্ট করবে। ডাক্তাররা কোন আশাব্যাঞ্জক কিছু বললেন না। আমার নব্বই বছরের মা ষাটোর্দ্ধ আমাকে এখনও শিশুর মত আদর করে। গত বুধবার শেষ দেখা তখনও আমাকে কাছে টানার চেষ্টা করে। আমি করোনার ভয়ে দূরে বসেছিলাম।এর আগে আমি সুযোগ পেলেই মাফ চাইতাম উল্টা আম্মা আমার কাছে মাফ চাইত। বলতেন, তোদের কোন সখ পূরন করতে পারিনি। প্রতিটি মূহুর্ত গুনছি কখন কি খবর আসে।আল্লাহ তুমি আমার হায়াত কমায় দিয়ে আম্মার হায়াত বাড়িয়ে দাও। একবার আম্মার পা ধরে কেদে মাফ চাই। আল্লাহ তুমি আম্মাকে নেক হায়াত দান কর। সকলের কাছে আম্মার সুস্হতার দোয়ার আবেদন করছি।”




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com