রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
দেশের ৩০টি কেন্দ্রে ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ২য় কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কলমাকান্দায় ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প জগন্নাথপুরে পলাতক আসামী গ্রেফতার-৫ চকরিয়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী, সড়ক দুর্ঘটনা, সংঘর্ষ ও মসজিদের বাথ রুমে মুসল্লীর লাশ সহ ৪ খুন : খুনিসহ আটক ৩ মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নে বিএনপি’র কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী থাকায় সংবাদ সম্মেলন পাঁচবিবিতে ওলামা মাশায়েখ ও সুধী সমাবেশ ফটিকছড়িতে আকষ্মিক সফরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সদরপুরে এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন গলাচিপায় তারুণ্যে উৎসবে বিভিন্ন পর্বে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ আমাদের মূল সংগ্রাম একনায়কতন্ত্র উৎখাত করা : সাক্ষাৎকারে কেএনডিএফ নেতা

কাশিয়ানীর মধুমতি বাওড় প্রভাবশালীদের দখলে

তাইজুল ইসলাম টিটন কাশিয়ানী :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মধুমতি বাওড়ে বাঁশ পুঁতে কাঠা ফেলে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে প্রভাবশালীরা। এতে মাছ শিকার করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার দরিদ্র জেলেরা। দ্রুত এই বাওড় থেকে অবৈধ কাঠামুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, ষাট দশকের শেষ দিকে মধুমতি নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে উপজেলার ফুকরা, তারাইল, পরানপুর, ঘোনাপাড়া, চাপ্তা, রাতইল, পাথরঘাটা, ধানকোড়া ও সুচাইল এলাকা নিয়ে বিশাল জলাশয় সৃষ্টি হয়। যা এখন মধুমতি বাওড় নামে পরিচিত। বাওড়টির আয়তন প্রায় ১৯২ হেক্টর। এ অঞ্চলের দরিদ্র জেলেদের মাছ শিকারের জন্য বাওড়টি সরকারি ভাবে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে এলাকার এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বাঁশ পুঁতে ও কাঠা ফেলে বাওড়টি দখল করে রেখেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বাওড়ের তীরবর্তী এলাকা কিছু প্রভাবশালী ও ধনী ব্যক্তি বাওড়ে অবৈধভাবে বাঁশ পুঁতে কাঠা দিয়ে দখল করে রেখেছেন। অথচ তারা কোন জেলে না। দীর্ঘদিন ধরে বাওড়টি দখলে রেখে বাওড় থেকে অবৈধভাবে জাল দিয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ শিকার করছেন। অথচ এলাকার দরিদ্র জেলেরা বাওড়ে কোন ধরণের জাল-দড়ি ফেলার সুযোগ পাচ্ছে না। এতে করে এক দিকে যেমন দরিদ্র জেলেরা মাছ শিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে ধবংস হচ্ছে দেশীয় মাছের অভয়াশ্রম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জেলে জানান, মধুমতি বাওড় এলাকার কিছু প্রভাবশালী বাঁশ পুঁতে কাঠা ফেলে এসব কাঁঠার সাথে বেড়া জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করছেন। দরিদ্র জেলেরা বাওড়ে মাছ ধরতে গেলে তাঁরা উঠিয়ে দেয় এমনকি মারধর করে। ফলে ভয়ে অনেকে বাওড়ে মাছ শিকার করতে যায় না। রাতইল গ্রামের বাসিন্দা বকুল কাজী বলেন, মৎস্য আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বাওড়ে মাছ শিকার করছে। ফলে দিন দিন এ অঞ্চল থেকে দেশীয় প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কাশিয়ানী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস.এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, দেশিয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণের জন্য মধুমতি বাঁওড়ের কয়েকটি স্থানকে মৎস্য অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ বাঁশ পুঁতে কাঠা ফেলে দখলে রেখে মাছ শিকার করতে পারবে না। বাওড় সবার জন্য উন্মুক্ত। কেউ আইন অমান্য করে মাছ শিকার করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com