রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কুমিল্লার লাকসামে বিএনপির উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩টায় লাকসাম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি বলেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জের মানুষকে আমি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসি, কেননা আপনারা আওয়ামী লীগের ১৬বছরে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুম,খুন ও নির্যাতিনের স্বীকার হয়েও প্রিয় দলকে ত্যাগ করেননি।আজকের জনসভায় উপস্থিতি তার প্রমান।তাজুল ইসলাম লাকসাম -মনোহর গঞ্জে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তিনি বলেন -শেখ হাসিনা অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে, দেশের সকল সেক্টরকে ধ্বংশ করেছে।বিএনপির ৬০লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম, খুন ও পুঙ্গু করেছে। তাই দেশের সর্বস্থরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে।
তিনি বলেন -বাংলাদেশের চলমান সকল অব্যবস্থাপনা দেশনায়ক তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য ঘোষিত ৩১ মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। তারেক রহমানের টেক ব্যাক বাংলাদেশ কর্মসূচি দেশের মানুষকে জাগ্রত করেছিলো। তাই তিনি (তারেক রহমান) দেশের সকল মানুষের সহযোগিতা নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে চান।যার মাধ্যমে দেশের সকল নাগরিক একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার পাবেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন বাংলাদেশের মানুষ সম্মান করে আপনাকে দায়িত্ব দিয়েছে, আপনি আপনার সম্মান রক্ষা করার চেষ্টা করুন। সর্বস্তরের মানুষের মনের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। একজন নাবালক উপদেষ্টার কথায় রাষ্ট্র চালানোর চেষ্টা করবেন না।জাতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে না রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করুন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও লাকসাম উপজেলা শাখার আহবায়ক আবুল কালামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। বিশেষ বক্তা হিসেবে ছিলেন লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব:) এম আনোয়ারুল আজিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ায় উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আমিরুজ্জান আমির,সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম,সাবেক যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক সরওয়ার জাহান ভূঁইয়া দোলন।
বক্তব্য রাখেন লাকসাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ডা.নুরুল্লাহ রায়হান, লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজির আহমদ, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস পাটোয়ারী,মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহ সুলতান খোকন, নোয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর উত্তরসূরী আয়াজ আলী চৌধুরী, গুম পরিবারের সদস্য শাহরিয়ার কবির রাতুল ও রাফসানুল ইসলাম প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল-বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বিকাল ৩টায় জনসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১টার আগেই লাকসাম স্টেডিয়াম বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। কোথাও যেন তিল ধারণের ঠাই ছিলোনা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়েছিল স্টেডিয়াম ও এর আশ পাশ এলাকা।