গেল বছরের শেষের দিকে হওয়া আরটিভি আয়োজিত ‘ফোক স্টেশন’র প্রথম সিজনে আড়ং ডেইরি- ‘বাংলার গান’ রিয়্যালিটি শো’র মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া কণ্ঠশিল্পী অংকন ইয়াসমিনের গাওয়া ‘চেংড়া বন্ধুয়া’ গানটি অল্প সময়ে শ্রোতাপিয়তা পায়। গানটি প্রকাশের মাত্র ১০ মাসেই ভিউ ছাড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪৬ লাখেরও বেশি; অল্প সময়ের মধ্যেই সেটি ২ কোটি ভিউ ছুঁতে যাচ্ছে। আরো খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘ফোক স্টেশন’র দ্বিতীয় সিজনের বেশ কিছু গান। যার মধ্যে কিছু মৌলিক গানের পাশাপাশি রয়েছে শত বছর আগের গানও। এবারের সিজনে সেই গানগুলো নিয়ে হাজির হয়েছেন অংকন। এই সিজনের সবগুলো গানের সঙ্গীতায়োজন করেছেন জেকে মজলিশ এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন নূর হোসেন হীরা।
‘জলের ঘাটে দেইখা আইলাম, কি সুন্দর শাম রাই! শাম রাই, ভ্রমরায়; ঘুইরা ঘুইরা মধু খায়’ এমন কথার এই গানটি শোনেনি এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাধারমণ দত্তের এই গান প্রায় ১০০ বছরের পুরনো। সেই গানটিকেই নতুন মোড়কে উপস্থাপন করেছেন তরুণ প্রজন্মের শিল্পী অংকন। ফোক স্টেশনের এবারের সিজনে অংকনের কণ্ঠে তোলা এই গান অল্প সময়েই শ্রোতাদের মন জয় করেছে। গানটি প্রকাশের দুইদিনেই এর ভিউ হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি।
শুধু তাই নয়, একই সিজনের আরও কিছু গান প্রকাশিত হয়েছে এরমধ্যে। ‘মোর বন্ধুয়া’ শিরোনামের গানটি প্রকাশের একদিনেই ভিউ হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজারেরও বেশি। অন্যদিকে ‘বন্ধু যায়’ গানটির ভিউ এখন ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে। এবারের সিজনে গাওয়া গান প্রসঙ্গে অংকন বলেন, প্রথম সিজনে আমার গাওয়া ‘চেংড়া বন্ধুয়া’ গানটি দর্শকমহলে দারুণ সাড়া পায়। সেটি ইতিমধ্যে ২ কোটি ভিউর দ্বারপ্রান্তে। সেই ধারাবাহিকতায় আবারও এই স্টেজে গান করতে পারা আমার জন্য দারুণ ভালো লাগার। তিনি আরও বলেন, আমি সত্যি অনেক আনন্দিত যে সবাই আমার গানগুলো পছন্দ করছেন। নানা মাধ্যমে আমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। আমি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে বলতে চাই, শত বছরের পুরনো ‘জলের ঘাটে’ গানটি আমার ভীষণ প্রিয়। এই গানটি নতুন করে আমার কণ্ঠে ধারণ করতে পেরে আমি কৃতার্থ। আরটিভি’র ফোক গানের ইতিহাসে এই গানটি খুব কম সময়ে এতো ভিউ পেলো। এছাড়াও অন্যান্য গানগুলোও দর্শকরা সাদরে গ্রহণ করেছেন। এটা সত্যি অনেক আনন্দের।