ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন হোয়াইট হাউসের সাংবাদিক। গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি এবং রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ করতে আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন আদায় করা। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। প্রকাশ্যে বাকযুদ্ধে পরিণত হয় ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠক।
এই আলোচনায় কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে আরও একটি বিষয়, তা হলো জেলেনস্কির পোশাক। বাকিদের মতো স্যুট-টাই পরেননি জেলেনস্কি। তার সামনে বসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স, দু’জনেরই পরনে স্যুট-টাই। ওভাল অফিসের ঘরে উপস্থিত বাকি পুরুষদের পরনেও একই ধরনের পোশাক। কিন্তু তার মধ্যে একেবারে অন্য পোশাকে উপস্থিত জেলেনস্কি। তার পরনে ছিল কালো সোয়েট শার্ট, শার্টের বুকের বাঁ দিকে ছিল ত্রিশূলের মতো ইউক্রেনের চিহ্ন। আর ছিল কালো স্ল্যাকস এবং বুটজুতো।
জেলেনস্কির পোশাক নিয়ে বৈঠকেই প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। প্রশ্ন ছিল, কেন হোয়াইট হাউসের এই সর্বোচ্চ স্তরের বৈঠকে তিনি ‘স্যুট’ পরে যাননি? উত্তরে জেলেনস্কি পাল্টা প্রশ্ন করে সাংবাদিককে জিজ্ঞাসা করেন, তাতে তার কোনও সমস্যা রয়েছে কি না! সাংবাদিক উত্তরে বলেন, যারা ওভাল অফিসের ড্রেস কোডকে সম্মান করেন না তাদের নিয়ে অনেক আমেরিকানদের সমস্যা রয়েছে। এই প্রশ্ন করা মাত্রই হাসতে দেখা যায় বৈঠকে উপস্থিত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে। কার্যত সেটা উপেক্ষা করে জেলেনস্কি উত্তর দেন, ‘যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হবে তখন আমি এমন পোশাক পরব। হয়তো তা আপনার মতো। হয়তো তা আপনার চেয়েও ভালো।’ যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নিজের চিরাচরিত পোশাকে দেখা গিয়েছে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে। ২০২২ সালে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তখন থেকে জেলেনস্কিকে এমন পোশাকেই দেখা গিয়েছে। কখনও অলিভ সবুজ রঙের সোয়েট শার্ট এবং কার্গো প্যান্ট, কখনও বাদামি-খয়েরি রঙের পোশাকে দেখা গিয়েছে তাকে। আগেও জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তার দেশে যে যুদ্ধ চলছে এটা বোঝাতেই এমন পোশাক পরেন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি