বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

ধনবাড়ীতে দেশীয় উচ্চফলনশীল জাতের বেগুনের বাম্পার ফলন

জহিরুল ইসলাম মিলন (ধনবাড়ী) টাঙ্গাইল
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলাতে বেগুনের বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো মূল্য পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এদিকে রমজানের শুরুতে বেগুনের বাজার দর দ্বিগুন বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। অপরদিকে রমজানে বেগুনের চাহিদা বেশি থাকায় নিরুপায় হয়ে সাধ্যমতো চড়া দামেই বেগুন ক্রয় করছেন কিছু সংখ্যক সুবিধাভোগী ক্রেতারা। রমজানে ইফতারে বেগুন দিয়ে বেগুনি তৈরী করার ফলে এ মাসে বেগুনের চাহিদাটা অন্যান্য সময়ের থেকে বেশি দেখা যায়। জাত ও আকার ভেঁদে বাজারে বেগুন পৃথক মুল্যে বিক্রি করছেন কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারা। রমজানের আগে যে বেগুনের পায়কারী প্রতি মন ছিলো সাত’শ টাকা তা বর্তমানে রমজানের সময় চাহিদা বাড়ায় কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬শ থেকে ২হাজার টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। পরিবহন ও বিভিন্ন খ্যাতে খরচ করে বেগুন অন্যত্রে পাঠিয়ে কোনমতে পুঁজি পাচ্ছেন বলে জানান পাইকারী ব্যবসায়ীরা। সমবার (৩ মার্চ) ধনবাড়ী বাজার ও উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, আকার ও যাত ভেদে বেগুনের মূল্য নির্ধারণ করে বিক্রি করছেন কৃষক ও পাইকাররা। বাজারগুলোতে লম্বা বেগুন ও গোল জাতের বেগুন পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে বাজারে লম্বা বেগুনের খুচরা কেজি ৬০-৮০ টাকা। পাইকারী বিক্রেতা জালাল হোসেন জানান, তিনি এবার লম্বা বেগুন প্রতি মন ১ হাজার ৮শ টাকায় এবং গোল বেগুন প্রতি মন ১ হাজার ৫শ থেকে ৬শ টাকায় ক্রয় করেছেন। কৃষকরা বাজারে বেগুন নিয়ে আসলে সরাসরি কৃষকদের গাড়ি থেকে বেগুন ক্রয় করছেন তারা। তিনি আরোও জানান, রমজানের আগে লম্বা বেগুনগুলো প্রতি মন পাইকারী দর ছিলো ৬শ টাকা। রমজান আসায় বাজারে এর দাম বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৬শ থেকে ৮শ টাকা মন। ক্রয়কৃত বেগুনগুলো তিনি ঢাকার বাজারে সাপ্লাই দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। বেগুনগুলো ঢাকায় পাঠাতে পরিবহন ও লেবার খরচ সহ তাদের প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা খরচ হয় এবং সব মিলিয়ে বাজারে বেগুনের চাহিদা থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছেনা বলেও জানান তিনি। ধনবাড়ী উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়নের কৃষক সোহেল বলেন, তিনি এবার ৩ পাখি জমিতে বেগুনের চাষ করেছেন এতে তার খরচ হয় আনুমানিক ৩ লক্ষ টাকা । খরচ বাদে ২ লক্ষ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। বাজারে লম্বা বেগুন ১ হাজার ৬শ থেকে ৮শ টাকা এবং গোল বেগুন ১ হাজার ৪শ টাকায় বিক্রয় করতে হচ্ছে। রমজানে বেগুনের চাহিদা থাকায় প্রতি মনে ৬-৭শ টাকা বেড়েছে। ধনবাড়ী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, উপজেলায় চলতি অর্থবছরে প্রায় ৪৮ হেক্টর জমিতে শিংনাথ, ঝুমকো, ইসলামপুরী, বিভিন্ন স্থানীয় জাতের বেগুন চাষ হয়েছে। কৃষি উপসহকারীদের মাঠ বিজিদের কারণ এবং কৃষকদের অত্যাধিক আগ্রহের ও ভালো মুনাফা পাওয়ায় বেগুন চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করি এ আগ্রহ ভবিষ্যতেও থাকবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com