সীমাহীন দুর্ভোগে লঞ্চ স্টিমার নিয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ঘাট থেকে সাগরপথে পারাপার হত যাত্রীরা। উত্তাল সমুদ্রে বিষন্ন মনে সন্দ্বীপ যেতে যাত্রীদের ভরসা ছিল কাঠের বোট কিংবা স্পিড বোট। কিন্তু সেই দুর্ভোগের চিত্র পাল্টে গেছে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর পরই।এর আগে আওয়ামী সরকার থাকা অবস্থায় কাজ শুরুর কথা থাকলেও নানা জটিলতায় হয়ে ওঠেনি। কিন্তু হাসিনা সরকার পতনের পর প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সরকার আসার পর সমুদ্র পথে আশার আলো দেখছেন সেখানকার ৪ লাখ মানুষ।দীর্ঘ বছরের ভোগান্তি ভুলে অবশেষে স্বপ্নের ফেরিতে সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রথমবারের মতো সীতাকুন্ড থেকে সন্দ্বীপের পথে যাত্রা শুরু করেছে। ২৪ মার্চ সোমবার সকালে বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ঘাটে ফেরীর উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম শাখাওয়াত হোসেন। এসময় উদ্বোধনে আরো ৬ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন পরবর্তীতে কপোতাক্ষ নামের ফেরী সার্ভিস ১ ঘন্টার মধ্যে সীতাকুন্ড বাঁশবাড়িয়া থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে সন্দীপের হাজার হাজার মানুষ উপদেষ্টাদের স্বাগত জানান। সীমাহীন দুর্ভোগ শেষে ফেরী সার্ভিস উদ্বোধনে সন্দ্বীপের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। এতে করে দৈনন্দিন যাত্রায় কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটে তাদের দুঃখ কষ্ট লাঘব হবে বলে ধারণা করছেন। এসময় তারা জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কেননা দেশের নৌ যোগাযোগ ইতিহাসে আজ মাইলফলক স্পর্শ করল। এটি আমাদের জন্য গৌরবের এবং আনন্দের। সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা রিয়াদ বলেন, বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ঘাটে ফেরীর উদ্বোধন আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। কোনভাবেই নিজেকে বিশ্বাস হচ্ছেনা। কেননা যুগের পর যুগ ধরে আমরা সীমাহীন দুর্ভোগে এই রুটে চলাচল করেছি। অবশেষে আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়েছে এবং যোগাযোগের নতুন এক অধ্যায় শুরু হয়েছে। এতে করে সন্দ্বীপের সঙ্গে অন্যান্য উপজেলার যোগাযোগের নতুন এক দ্বার উন্মোচন হয়েছে। আমরা মাননীয় উপদেষ্টাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকব।