মশার কামড়ে অতিষ্ঠ ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দারা। প্রথম শ্রেণীভুক্ত এই পৌরসভায় মশা নিধনে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে দিন দিন বেড়েই চলেছে মশার উৎপাত। এতে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে পৌরবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি মশার উৎপাতে অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে পৌরজীবনে। বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মানুষ কিংবা পশুপাখি কেউই। মশার কয়েল, স্প্রে সব কিছুই মশার কাছে হার মানছে। পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৩- ২৪ অর্থ বছরে ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধ বাবদ ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা বাজেট ছিল। বর্তমানে এ খাতে পৌরসভার কোন অর্থ বরাদ্দ নাই। পৌরসভায় মশা নিধনের জন্য ৩ টি ফগার মেশিন থাকলেও সচল আছে ২টি। পৌরসভার নালা নর্দমায় অপরিষ্কার পানি জমে থাকা, নিয়মিত পরিষ্কার না করা এবং যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে মশা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পৌরবাসী। এছাড়া পৌরসভার প্রায় সব এলাকায় সড়কের পাশের অধিকাংশ স্থানে নালার কিংবা ড্রেনের ঢাকনা না থাকায় মশার বিস্তার চরম আকার ধারণ করেছে বলে মনে করেন তারা। শহরের মধুগঞ্জ বাজারের বাসিন্দা মাহামুদ হোসেন জানান, গ্রীস্মের শুরুতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ নালা-নর্দমাগুলোতে মশক নিধন স্প্রে না করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি সরকারি দপ্তরগুলোতে ভালোভাবে স্প্রে করা হতো, বাকি জায়গাগুলোতে করা হতো না।বর্তমান যে অবস্থা তাতে নিয়মিত মশা নিধনকরী ঔষধ প্রয়োগ করা হলে হয়তো পৌরবাসীর এ দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। এবিষয়ে পৌর প্রশাসক দেদারুল ইসলাম জানান,পৌর এলাকার মশা নিধনে অর্থ বরাদ্দ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।