রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন

নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধোঁয়াশা তৈরি করছে: রিজভী

ইকবাল হোসেন:
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধোঁয়াশা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, একেক সময় একেক বক্তব্য দিয়ে পতিত সরকারের মতোই তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশাভ্যান ও অটোচালকদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সবার ত্যাগ স্বীকার না করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর না জুনে-এমন দোদুল্যমান বক্তব্য না দিয়ে স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে জাতিকে আশ্বস্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, অনেকেই বলেন যে, শুধু নির্বাচন করার জন্য কি আন্দোলন করা হয়েছে? নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেই তো আন্দোলন হয়েছে। শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করেননি। ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশকে একটি কারবালায় পরিণত করেছিলেন। আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলেও জনগণের সমর্থন রয়েছে। সকল আন্দোলনকারী দল তাদের সমর্থন দিয়েছে।
১২২টি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা এখনও বেতন পাননি এবং ১৫০ গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বোনাস পাননি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সরকারের দায়িত্ব শ্রমকিদের বেতন ভাতার ব্যবস্থা করা। অবিলম্বে তাদের বেতন বোনাসের ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে ১৭জন রিকশাচালক জীবন দিয়েছেন। আমি তাদের বাসায় গিয়েছি। কি নিদারুণ কষ্টে তাদের পরিবারের সদস্যরা জীবন-যাপন করছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের পরিবার যেন না খেয়ে না থাকে। তাদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। তাদের সন্তানদের লেখা-পড়ার দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে। পরিবারের সদস্য যারা চাকরি পাওয়ার উপযুক্ত তাদের চাকরি দিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারি ইশরাক হোসেন ন্যায় বিচার পেয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল। সে সময় চোর ডাকাতরা এমপি হতো। আর ভালো মানুষদের জায়গা হতো কারাগারে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার উদাহরণ। যদি দেশে সত্যিকার গণতন্ত্র থাকতো তাহলে ২০১৪ সালেই বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতেন।
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচি আব্দুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারি ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com