পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নগরীর মার্কেটগুলোর পাশাপাশি ভিড় বেড়েছে জায়নামাজ, দেশীয় টুপি ও আতর-এর দোকানগুলোতে। একই সাথে এসব পণ্য কেনাবেচার ধুম পড়েছে অনলাইনেও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের পোশাক কেনাকাটার শেষ মুহূর্তে দেশীয় টুপি, জায়নামাজ ও আতরের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তবে এবছর ঈদ উপলক্ষে টুপির বাজারে বিদেশি টুপির চেয়ে দেশীয় টুপির চাহিদা লক্ষণীয়।
নগরীর বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, বড় বড় দোকানগুলোতে চায়না, পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ান ও তুর্কিসহ বিদেশি বিভিন্ন টুপির সমাহার রয়েছে । তা সত্ত্বেও দোকানিরা দেশীয় টুপি বিক্রি করছে হাঁকডাক দিয়ে। নগরীর চকবাজার, হেমায়েত উদ্দিন রোড (গির্জা মহল্লা), সাগরদী বাজার, একাধিক মাদ্রাসার সামনে ও নগরীর বিভিন্ন ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসেছে বিক্রেতারা।
পবিত্র ঈদ উৎসব শুরু হয় ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্যে দিয়ে। আর ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য টুপি, আতর ও জায়নামাজ সবারই প্রয়োজন। তাই ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ক্রেতারা ছুটছেন টুপির দোকানগুলোতে। রকমারি ডিজাইন আর বাহারী রঙের দেশীয় টুপি ছোট-বড় সব বয়সের ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। নগরীর হেমায়েত উদ্দিন রোডস্থ ঐতিহ্যবাহী কসাই মসজিদ সংলগ্ন আজাদ টুপি ঘরের ব্যবসায়ী মো. মাহমুদ হোসেন জানান, দেশীয় আল-ফারুক, ফেমাস ও কবির কোম্পানির টুপির চাহিদা বেশি। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০ টাকা, চায়না টুপি ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। তবে মার্কেটে পাকিস্তানি টুপির দাম বেশি হলেও দেশীয় পাতি বসানো টুপি মানসম্মত। যার মূল্য ৬০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। তুর্কি সুতার টুপি ৬০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা।
অনলাইন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনলাইনেও টুপি ও জায়নামাজ কেনাবেচার ধুম পড়েছে। আতরের দোকানগুলোতেও রয়েছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
জার্মান, পাকিস্তান, ভারত, দুবাই ও সৌদীআরব থেকে আমদানি করা আতরের চাহিদা চোখে পড়ার মত।
নগরীর জামে মসজিদ কসাই মার্কেট, চকবাজার এবায়েদ উল্লাহ মসজিদ ও কাকলী মোড় কোরাআন মঞ্জিল স্টল আতর বিক্রির জন্য প্রসিদ্ধ। দেশীয় আতর প্রতি ড্রাম ৪০ টাকা থেকে ১০০টাকা, জার্মানের বেলী, হাসনাহেনা ও রজনীগন্ধা প্রতি আউন্স ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও পাকিস্তানি গুলে লাল, ফেরদাউস ও জেসমিন নামের আতরের চাহিদা বেশি। এগুলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা প্রতি আউন্স। জায়নামাজ পাওয়া যাচ্ছে দেশি ও বিদেশি। দেশি জায়নামাজ ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে।
পাকিস্তানি জায়নামাজ ৪’শ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে নগরীর সদর রোড বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ মাওলানা আব্দুল কাদের বাসস’কে বলেন, মুসলমানদের কাছে নামাজের অন্যতম অনুষঙ্গ টুপি। তাই টুপির রয়েছে আলাদা কদর। আর ঈদ এলে তো কথাই নেই।
নতুন টুপি কিনতেই হবে। একইসাথে ঈদের সময়ই আতরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ঈদের দিন মনমাতানো সুরভিতে চারপাশ সুবাসিত করতে আতরের বিকল্প নেই।