ঝালকাঠির নলছিটিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও উদযাপন হচ্ছে সার্বজনীন শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজো। নলছিটি পৌর শহরের তাঁরা মন্দির ও হরিসভা মন্দিরে অনাড়ম্বর পরিবেশে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালিত হচ্ছে মায়ের পূজো। মাস্ক পরিধান করে মন্দিরে আসা বাধ্যতামূলক করেছে উভয় মন্দিরের কমিটিবৃন্দ। তবে অনাড়ম্বর পরিবেশ হলেও আলোকসজ্জা ও সাউন্ড সিস্টেমের কমতি রাখেনি আয়োজকরা। ২২ নভেম্বর রোববার অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবীর আমন্ত্রণ, ২৩ নভেম্বর সোমবার সপ্তম্যাদিকল্পে নবমীবিহিত দেবীর পূজো, অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে মায়েদের সিঁদুর খেলা, সন্ধ্যা আরতি, আরতি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সবশেষে দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৩ দিন ব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বী শক্তির দেবী শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজোর সমাপ্তি হবে। অনুষ্ঠানে দল মত নির্বিশেষে সকলকে মন্দির প্রাঙ্গনে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জনারধন দাস,সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার দাস, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নলছিটি শাখার সভাপতি প্রান্তিক দাস পুটু, সম্পাদক শুভাশিষ দত্ত প্রদ্যুৎ, হরিসভা মন্দির জগদ্ধাত্রী পূজা উদযাপন সভাপতি সুশান্ত দাস শান্তু, সম্পাদক দীপু মন্ডল, তাঁরা মন্দির কমিটির সভাপতি, অমিত সরকার সেতু, সম্পাদক অর্নব দাস শান্তসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এইভাবে প্রতিবছর জগদ্ধাত্রী পূজোর আয়োজন করায় আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নলছিটির সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যাক্তিবর্গরা। জগদ্ধাত্রী দেবী হচ্ছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী শক্তি দেবী। ইনি দেবী দুর্গার অপর রূপ। উপনিষদে তিনি উমা হৈমবতী নামে পরিচিত। বিভিন্ন তন্ত্র ও পুরাণ গ্রন্থেও তার উল্লেখ পাওয়া যায়। রাজসিক দেবী দুর্গা ও তামসিক কালীর পরেই স্থান সত্ত্বগুণের দেবী জগদ্ধাত্রীর। কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর বাৎসরিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে থাকে। যদিও জগদ্ধাত্রী আরাধনা বিশেষত বঙ্গদেশেই প্রচলিত রয়েছে।