হিরা, মুক্তা ও মানিকসহ তিনটি বাচ্চাকে এক সাথে লালন-পালন করতে হিমশিম খাচ্ছে মরুফা খাতুন। একজন মাকে যখন একটি বাচ্চাকে লালন-পালন করতে হিমশিম খেতে হয়। সেখানে মারুফা খাতুন দিব্বি তার এক সাথে তিনটি বাচ্চাকে লালন-পালন করছে। গত ৬ মাস আগে দামুড়হুদা উপজেলার জগৎনাথ পুর গ্রামের এরশাদ আলীর স্ত্রী মারুফা খাতুন চুয়াডাঙ্গা ডাঃ জিন্না তারা ক্লিনিকে এক সাথে নরমালে ৪টি বাচ্চা প্রসাব করেন। এদেও মধ্যে একদিন পর একটি বাচ্চা মারা যায়। বাকি ৩টি বাচ্চা এখনো সুস্থ্য আছে। এরা হলো হিরা, মুক্তা ও মানিক বয়স (৫মাস)। মারুফা খাতুনের একার পক্ষে হিরা, মুক্তা ও মানিককে সামলতে কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে মারুফার শাশুড়ী সুরাতন বেগম ও জাবাচ্চা গুলোকে লালন পালন করতে সর্বক্ষনিক সহযোগিতা করে আসছেন। এ তিনটি বাচ্চা লালন পালন করতে কষ্ট হলেও মারুফার স্বামী ও শাশুড়ী সহ পাড়ার সবাই তাদেরকে নিয়ে বেশ খুশি। এ বাচ্চা গুলো হওয়ার বছর খানেক আগে মারুফার মুজিবনগর বল্লবপুর হাসপাতালে একসাথে নরমালে তিনটি বাচ্চা প্রসাব করে।এদরেমধ্যে দুইটি মেয়ে ও এশটি বাচ্চাহয়। বাচ্চা গুলো হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার ৮/৯ দিন পর মারা যায়। এরপর এক বছর তিন মাসের মাথায় আবার ৪টি বাচ্চা প্রসাব করে মারুফা খাতুন। এদের মধ্যে একটি বাচ্চা মারা গেলেও বর্তমানে হিরা, মুক্তা ও মানিক মায়ের কোল আলো করে বেড়ে উঠছে। হিরা, মুক্তা ও মানিকের হাসির ঝিলিক মারুফা সকল কষ্টকে ভুলিয়ে দেয়। পার্শ্ববর্তী বাড়ির সকলেই হিরা, মুক্তা ও মানিককে কোলে তুলে নিয়ে আদর করছে। সকলে আর্শিবাদ নিয়ে বেঁচে থাক দুই বোন ও এক ভাই হিরা, মুক্তা মানিক।