গত কয়েক দিনে শীত জেকে বসেছে। ফলে ঠান্ডা, কাশি কিংবা জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। এ অবস্থায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ওষুধই হতে পারে সমাধান। তেমনই একটি সমাধান তুলসি পাতা। প্রাচীনকাল থেকেই এ পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে। দেশের সব অঞ্চলেই তুলসি গাছ দেখা যায়। এটি খুবই সহজলভ্য একটি প্রতিকার।
কেননা তুলসির রয়েছে নানা ধরনের গুণাগুণ। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি গুণ তুলে ধরছেন মো. বিল্লাল হোসেন-
ঠান্ডা-কাশি কমায়: প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ঠান্ডা, জ্বর ও কাশি সারাতে ব্যবহার হচ্ছে তুলসি পাতা। তুলসি পাতা ও মধু একসাথে নিয়মিত কয়েক দিন খেলে ঠান্ডা বা জ্বর সেরে যায়। আগের দিনে ঠান্ডা বা জ্বরের একমাত্র ওষুধ ছিল তুলসি পাতা। কারণ এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ: তুলসিতে আছে ইসেনশিয়াল ওয়েল, যেমন- লিনোলেয়িক অ্যাসিড; যা আমাদের শ্বাসতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া এ অ্যাসিড ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। ইসেনশিয়াল ওয়েল ছাড়াও এতে আছে কিছু উদ্বায়ী তেল; যা অ্যালার্জি, ইনফেকশন ও রোগসৃষ্টিকারী জীবাণু থেকে আমাদের দেহকে সুরক্ষা দেয়।
ব্রণ ও পিম্পল কমায়: যাদের ব্রণ ও পিম্পলের সমস্যা আছে; তাদের জন্য দারুণ একটি টোটকা হলো তুলসি পাউডার। যদি এ সমস্যায় ভোগেন, তাহলে তুলসি পাউডারের সাথে নিম অথবা হলুদের গুড়া মিশিয়ে ব্যবহার করুন। সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ক্লিনিং ও ডিটক্সিফাইং এজেন্ট: তুলসি পাতা দেহের পরিষ্কারক ও ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে উপস্থিত নানা ধরনের ফাইটোকেমিক্যালস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস মূলত এ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তুলসি চা: তুলসি পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। যা দেবে মানসিক প্রশান্তি। এ ছাড়া এ চা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখবে।
ইমিউনিটি বুস্টিং: এতে প্রচুর ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খুবই জরুরি উপাদান।
ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: এতে উপস্থিত বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দারুণ ভূমিকা পালন করে। তাই এই শীতে নিজেকে এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে নিয়মিত তুলসি পাতা খান, সুস্থ থাকুন। লেখক: মা. বিল্লাল হোসেন, ফিচার লেখক ও শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।