জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে প্রথম নারী হিসেবে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফরিদা ইয়াসমিন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস খান। নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থি প্যানেল থেকে সভাপতি ও সহ-সভাপতিসহ ১১ জন এবং বিএনপিপন্থি প্যানেল থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জন জয়ী হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মো. মোস্তফা-ই-জামিল এ ফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থি প্যানেল থেকে জয় পেয়েছেন সভাপতি পদে ফরিদা ইয়াসমিন (৫৮১ ভোট), সহ-সভাপতি পদে রেজোয়ানুল হক রাজা (৬১৫ ভোট), দুটি যুগ্ম সম্পাদক পদে মাঈনুল আলম (৫৭৭ ভোট) ও মো. আশরাফ আলী (৩৯৫ ভোট), কোষাধ্যক্ষ পদে শাহেদ চৌধুরী (৭০৬ ভোট), সদস্য পদে আইয়ুব ভূঁইয়া (৫৪৪ ভোট), রেজানুর রহমান (৪৭৪ ভোট), জাহিদুজ্জামান ফারুক (৪৪৩ ভোট), শাহানাজ সিদ্দিকী সোমা (৪২০ ভোট), ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী (৪১১ ভোট) ও রহমান মুস্তাফিজ (৩৭৯ ভোট)।
জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্যানেল থেকে জয় পেয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে হাসান হাফিজ (৪১৩ ভোট), সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস খান (৫৬৬ ভোট), সদস্য পদে কাজী রওনাক হোসেন (৪৫৫ ভোট), শাহনাজ বেগম পলি (৪৩০ ভোট), সৈয়দ আবদাল আহমদ (৪২১ ভোট) ও বখতিয়ার রানা (৩৬৮ ভোট)।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১ হাজার ১৫১ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর আগে গত গত বুধবার একই মিলনায়তনে জাতীয় প্রেসক্লাবের ২৩তম দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মো. মোস্তফা-ই-জামিলের নেতৃত্বে সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এ নির্বাচন পরিচালনা করেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জাফর ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান, এসএম শওকাত হোসেন, গৌতম অরিন্দম বড়ুয়া (শেলু বড়ুয়া), শামীমা চৌধুরী ও মো. মনিরুজ্জামান। নির্বাচনে ফরিদা ইয়াসমিন-ওমর ফারুক পরিষদ ও সবুজ-ইলিয়াস পরিষদ নামে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ দুটি প্যানেলের ৩৪ জন ১৭টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া কয়েকটি পদে প্যানেলের বাইরে আরও সাতজন প্রার্থী ছিলেন।