শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

নওগাঁর রাণীনগরে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে লতিরাজ কচুর চাষ

মোশারফ হোসেন জুয়েল নওগাঁ :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২১

নওগাঁর রাণীনগরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে লতিরাজ কচুর চাষ। অধিক পুষ্টিগুন সম্পন্ন এই সবজি চাষে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন বলে ভরসা বাড়ছে এই সবজি চাষে। এই সবজিটি মূলত দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। এক ঘেয়েমী আবাদ থেকে কৃষকদের অল্প সময়ে ও কম খরচে অধিক লাভবান করার আশায় উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক ত্বত্তাবধানে রাণীনগর উপজেলাতেও এই লতিরাজ কচুর চাষ শুরু করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা মূলত ধান চাষের জন্য বিখ্যাত। তবে ইদানিং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি অফিসের সার্বিক ত্বত্তাবধানে অধিক লাভজনক ড্রাগন ও মাল্টা ফল এবং লেবুর চাষে ব্যাপক ষফলতা পেয়েছে কৃষকরা। তারই ধারাবাহিকতায় অধিক লাভজনক আর একটি সবজি হচ্ছে লতিরাজ কচু। এই সবজি গাছের সবটুকুই লাভজনক। এপর্যন্ত উপজেলায় আগাম জাতের লতিরাজ কচু ৮হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হয়েছে। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় অন্যান্য ফসল ও সবজির চেয়ে কচু চাষে লাভ অনেক বেশি পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কচু চাষীরা। এই সবজি নিচু জমিতেও চাষ করা সম্ভব। এই সবজি চাষে তেমন কীটনাশক ও সার ব্যবহার করতে হয় না। এই কচু গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় রোগের আক্রমণ কম হয়। কচু গাছের পাতা, কান্ড ও মূল সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। এছাড়া কচুর কান্ডকে চারা হিসেবে বিক্রি করা যায় অর্থাৎ লতিরাজ কচুর পুরোটাই ব্যবহার করা সম্ভব। এক সময় উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে লতিরাজ কচুর চাষ শুরু হবে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চালান করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। কাশিমপুর গ্রামের কচু চাষী আবুল কাশেম বলেন কৃষি কর্মকর্তার উৎসাহ আর প্রেরণায় আমি এই প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে কচু চাষ শুরু করেছি। এতে করে আমি অনেক লাভ করতে পারছি। এই সবজির পুরোটাই লাভজনক। কোন অংশই নষ্ট হয় না কিংবা ফেলে দিতে হয় না। পরিবারের চাহিদা পূরন করে বাজারে বিক্রি করে আমি অনেক লাভবান হচ্ছি। আমি আগামীতে কচু চাষের পরিধি আরো বৃদ্ধি করবো। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন বর্তমান সরকারের ভিশনকে বাস্তবায়ন করার প্রয়াস হিসেবে উপজেলার কৃষকদের একঘেয়েমী ধান চাষ থেকে ফিরিয়ে অধিক লাভজনক ফষল ও সবজি চাষের প্রতি আগ্রহী করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা। এই কচু দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের একটি লাভজনক ফসল। আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে কচুর চারা সংগ্রহ করে কিছু কৃষককে উদ্বুদ্ধ করে কচু চাষ শুরু করেছি। বর্তমানে কৃষকরা তাদের কচু তোলা শুরু করেছেন। এতে করে কৃষকরা কচু থেকে লাভ খুব ভালো পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তিনি আরো বলেন একই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করলে জমির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পায়। কচু চাষের অনেক সুবিধা রয়েছে যেমন এই সবজি যে কোন জমিতে চাষ করা সম্ভব, সবজি হিসেবে বাজারে বিক্রির পাশাপাশি চারা হিসেবেও কচুর কান্ড বিক্রি করা যায় অথ্যাৎ এই কচুর আপাদ-মস্তকই লাভজনক। যারা এই কচু চাষে আগ্রহী উঠছেন তাদেরকে আমি কৃষি অফিসের মাধ্যমে চারা সরবরাহ করা থেকে শুরু করে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com