জামালপুর সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, বকশীগঞ্জ উপজেলার ফসলের জমিতে মাঠভরা এখন নতুন সবজি। শীতের শুরুতে আগাম সবজির ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান জামালপুরের কৃষকরা। ইতিমধ্যে আগাম সবজি বাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করতে পেরে খুশি তারা। জামালপুর সদর উপজেলা নান্দিনা শহরতলির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদীর বিশাল এলাকাজুড়ে সবজির চাষ হয়।সবজি চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ও অক্টোবরের শুরুর দিকেই বেগুন, লাউ, সিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, করলা, লালশাক, ডাঁটাশাক, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ঝালি কুমরাসহ নানা ধরনের সবজি চাষ করেন চাষিরা।কিন্তু অক্টোবরের শুরুর দিকে পাহাড়ি ঢলে নিচু এলাকার সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি চাষাবাদ করা উঁচু এলাকার সবজি এখন বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এই সবজির দামও আশানুরূপ পাচ্ছেন বলে জানান গজারিয়া গ্রামের সবজি চাষি লিয়াকত আলী। তিনি বলেন, পাহাড়িঢলে বেশিরভাগ সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় কষ্টের মধ্যে পড়েছিলাম। সামান্য কিছু উঁচু জমিতে করলা, পানি লাউ ও লালশাক চাষ হয়েছিল।এখন সেগুলো বিক্রি করার উপযোগী হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছি। দরলা আনন্দ বাজারে নিয়ে বিক্রি করলে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, পানি লাউ প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, সিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে।একই গ্রামের রহম আলী ও আবুল মিয়া জানান, ডাটাশাক, মুলাশাক, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ঝালি কুমরা আগাম বিক্রি করতে পেরে খুশি। এরা বললেন, ১৫ দিন পরে সবজির দাম অর্ধেক হয়ে যাবে। যারা আগাম বিক্রি করতে পারছে, তারা লাভবান হচ্ছে। ইসলামপুরের সবজি চাষি রাশেদ মিয়া ও আবুল কাসেম বলেন, আগাম সবজি এবার খুব ভালো হয়েছে। দাম অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি পাচ্ছেন তারা।জামালপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, পুরো জেলায় এ বছর ১৭ হাজার ৭’শ হেক্টর সবজি চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।জামালপুর সদর ও উপজেলা গুলোতে কৃষকদের আবাদ করা সবজি বাজারে ওঠা শুরু হয়েছে। এ সবজির দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।