কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউপির সোনাইকান্দি গ্রামে অবস্থিত এক বিএনপি নেতা নজরুল ইসলামের ইটের ভাটায় শতাধিক ট্রলিতে করে আনা হচ্ছে আবাদী জমির মাটি। সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উপজেলার ব্যস্ততম দৌলতপুর-রিফাইতপুর সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ট্রলিতে মাটি আনা হলেও উপজেলা প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করায় সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জানাগেছে উপজেলা বিএনপি‘র অর্থ সম্পাদক খ্যাত নজরুল ইসলাম উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের ৭৮ নং সোনাইকান্দি মৌজার ৮৮ ও ১ নং খাষ খতিয়ানভুক্ত ১৩১, ২৬৩ ও ২৬৭ দাগের ৬ একর ৫৬ শতাংশ সরকারী জমির উপর অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করেছে। এবং ঐ ইটভাটায় পার্শ্ববর্তী গলাকাটি মাঠের কৃষিজমি থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রলিতে করে মাটি কেটে ইট তৈরি করছেন। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী আবাদি ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার না করার কঠোর নির্দেশনা থাকলেও তিনি সেই নির্দেশনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইটভাটায় আবাদী জমির মাটি ব্যবহার করছেন। আর সেটা দেখেও না দেখার মত বসে আছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে স্থানীয়রা জানান, সরকারী জমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা চালানো হচ্ছে অপরদিকে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে কৃষি ও আবাদী জমির মাটি কেটে আনার বিষয়টি তাদের কাছে রহস্যজনক ও বিস্ময়কর। তারা জানান, কি কারণে উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা তা তাদের বোধগম্য নয়। এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম এর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকরা জানায়, তিনি এখন ঘুমাচ্ছেন। এসময় শ্রমিকরা আরো জানায়, কৃষি জমি হলেও এই মাটি আমাদের ভাটা মালিক জমি মালিকদের কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন। একইভাবে উপজেলার স্বরুপপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার, নুরুল ইসলাম এবং সাদিপুরে মামুন রিফাইতপুরের শহিদুল ইসলাম ওলি, আসাদুজ্জান, সালাম সহ ২৬ টি ইটভাটা ব্যবসায়ী দিনে ও রাতের আধারে ড্রাম ট্রাক ও ট্রলিতে করে বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি এনে ইটভাটায় ব্যবহার করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার প্রতিবারের বক্তব্যের ন্যায় সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেবার কথা জানান তিনি। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন. যারা কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।