প্রতিটি পেশাতেই ভালো-মন্দ উভয় দিক থাকে। আলেম সমাজও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে তাদের মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেনÑ ‘তাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে (ঈমানদার) এবং যারা জানে (আলেম) আল্লাহ তায়ালা তাদের মর্যাদা উচ্চ করে দেবেন’ (সূরা মুজাদালাহ : ১১)। এ ছাড়া হাদিস শরিফে বর্ণিত আছেÑ রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যে আমাদের বড়দের সম্মান করে না, আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না, আমাদের আলেমদের সম্মান করে না, সে আমার উম্মতের মধ্যে নয়’ (তারগিব : আহমাদ, হাকিম)।
আলেমরাই ইসলামী শরিয়তের বিধান নিয়ে কথা বলার অধিকার রাখেন। এমনকি এই অধিকার শুধু তাদেরই আছে, যেমন রোগীর প্রেসক্রিপশন ডাক্তারই দিতে পারেন। যেকোনো বিষয়ে আলেমদের কথা কারো মনঃপুত হবে কারো মনঃপুত হবে না। মনঃপুত না হলেও তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা, তাদের গালিগালাজ করা, তাদের অসম্মান করে কথা বলা এটা নীতিবিরুদ্ধ। তবে কোনো আলেমের কোনো দোষত্রুটি যদি কারো ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে এবং ওই আলেমকে ব্যক্তিগতভাবে বলার পরও তিনি সংশোধন না হয়ে তার দোষত্রুটিযুক্ত কাজ চলমান রাখেন তাহলে তা প্রকাশ করতে দোষ নেই। একইভাবে সমাজের অন্য কোনো পেশার যে কেউ কোনো দোষত্রুটি করলে সংশোধন করতে বলার পরও সংশোধন না হলে তার দোষ প্রকাশ করা যেতে পারে।
হজরত আবুবকর রা: বলেন, আমি রাসূল সা:কে বলেতে শুনেছি যে, ‘হয়তো তুমি আলেম হও অথবা তালেবে এলেম হও অথবা মনোযোগসহকারে এলেম শ্রবণকারী হও অথবা এলেম আলেমের মহব্বত করনেওয়ালা হও। (এই চার প্রকার ব্যতীত) প ম হয়ো না, নতুবা ধ্বংস হয়ে যাবে। প ম প্রকার এই যে, তুমি এলেম ও আলেমদের সহিত শত্রুতা পোষণ করো’ (তাবারানি : মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)। কুরআন ও হাদিসের আলোকে আমরা আলেমদের মর্যাদার বিষয়ে আরো বহু জানতে পারি। সুতরাং প্রত্যেকের উচিত আলেমদের সম্মান করা এবং অসম্মান করা থেকে বিরত থাকা। লেখিকা : শিক্ষার্থী