গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমিজমা নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ও মারপিটসহ স্লীলতাহানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে কোমড়পুর চৌমাথা সংলগ্ন নিজ বাড়ির উঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আজমিরা রহমান সাথী। লিখিত বক্তব্যে সাথী জানান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের কোমরপুর বাজারের পশ্চিম পাশে মধ্য দরবস্ত গ্রামের মোছাঃ সালেহা বেওয়ার সাথে একই ইউনিয়নের মরহুম আলতাফ হোসেন বাদশা সরকার এর জীবদ্দশায় জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বে মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছিল। বাদশা সরকারের মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে মেহেদী হাসান রানা গাইবান্ধা যুগ্ম জজ আদালতে ডিগ্রী রদের পিটিশন মামলা দায়ের করেন- যার পিটিশন মামলা নং- ০৭/২০২০। এই মামলা দায়েরের পর থেকে প্রতিপক্ষরা আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য নানা অপকৌশলে লিপ্ত হয়। গত বুধবার আমার বড় ভাই রানাসহ অন্য ভাইয়েরা ওই দখলীয় জমিতে হালচাষ করতে থাকলে দুপুর ১ টার দিকে মৃত ছালেহা বেওয়ার নাতি মিজানুর রহমান (২৮) একদল লোক নিয়ে ওই জমিতে হাল চাষে বাঁধা দিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে মিজানুর বাড়ীতে এসে আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিত ভাবে নিজের ঘরে নিজেই আগুন লেগে দেয়। এ সময় আমার ছোট বোন সোনিয়া আকতার সন্ধি (২৮) আগুন দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে এগিয়ে যায় এবং মোবাইলে আগুনের ভিডিও ধারণ করতে থাকে। এ সময় মিজানুর রহমান ও তার লোকজন সন্ধিকে বেদম মারপিটসহ তার স্লীলতাহানী ঘটায়। ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। সাংবাদিক সম্মেলনে সাথী বলেন, গ্রামবাসীসহ এলাকার লোকজন ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। তাই প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে আজমিরা রহমান সাথী। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্রামবাসী মোস্তাফিজুর রহমান নজমু, মজনু মিয়া, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান নয়ন, সাজু মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, বাদল সরকার, সাহারুল ইসলাম, সাজাহান আলী, রায়হান সরকার, সাথীর বড় ভাই মেহেদী হাসান রানা ও ছোট বোন আহত সনিয়া আক্তার সন্ধি।