গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ভাকোয়াদী গ্রামের যুবসমাজ। ওরা কোন সংগঠনের নয়, তবে নিজের গ্রামের মানুষের দুরবস্থার কথা ভেবে কাজ করছে সংগঠনের মতোই সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। তারা সকলেই একই গ্রামের। তাদের দেখা হয় কোন উৎসবে বা গ্রামের বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে। সকলেই দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। সম্পূর্ণ পেশাদায়িত্ব ও সমাজিক দায়বদ্ধতায় মিলিত হয়েছেন একসাথে। দাঁড়িয়েছেন করোনাভাইরাসের কারণে গৃহবন্ধী থাকা নিজ গ্রামের কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে। সকলের সম্মিলিত আর্থিক সহযোগিতায় খাবার কিনে নিজেদের কাঁধে করে পৌঁছে দিচ্ছেন হতদরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে।
মহামারী কোভিড-১৯ স্থবির করে দিচ্ছে সবকিছু। ঘর থেকে বের হতে না পারায় আঘাত হেনেছে গরীব ও শ্রমজীবীদের আহারে। এই দরিদ্র লোকদের ঘরে নিজ উদ্যোগে খাবার পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করছেন সংকটময় এসময়ে যুবসমাজের সাথে কাজ করছে তরুণরাও। সাথে যোগ হয়েছে গ্রামের সেচ্ছাসেবী সচেতন লোকজন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশব্যাপী অচল অবস্থা থাকার কারণে মধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষ পড়েছেন বিপাকে। কম আয়ের মধ্যবিত্তরা লজ্জায় সহযোগিতা চাইতে পারছেন না। সবার কথা বিবেচনা করেই গ্রামের সচেতন যুবকরা নিজ গ্রামের কম আয়ের মানুষের বাড়িতে কাঁধে করে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।
গত বৃহষ্পতিবার ও শুক্রবার দিনব্যাপী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১৫০টি পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। ব্যাগে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, সাবান ও লবন পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ।
অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণের সময় কথা হয় গ্রামের মেহেদী হাসানের সাথে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষের ঘরের খাবার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। শতাধিক পরিবারে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা শেষ হয়েছে। আরো বিতরণ করার পক্রিয়া চলছে।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র