ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সেচের অভাবে অনাবাদি পড়ে আছে ৫০০ কাঠা জমি। প্রায় ১০০ কৃষক দীর্ঘ দিন ধরে সেচের অভাবে তাদের জমিতে বোরো ধানের আবাদ করতে পারছেন না। চলতি মৌসুমে সেচের আবেদন করলেও মিলছেনা অনুমোদন। ওই অবস্থায় দিশাহীন কৃষকরা ফসলের মাঠেই শনিবার মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের তরফ পাছাইল গ্রামে কুন্দাবিলের পাশে অন্তত ৫০০ কাঠা (১০ শতকে এক কাঠা) জমি দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে অনাবাদী পড়ে থাকে বোরো মৌসুমে। কুন্দাবিলের পানি দিয়ে কিছু জমিতে বোরো ধানের আবাদ করতে পারলেও বাকি জমি থাকে অনাবাদি। ১ কিলোমিটার দূরে বিএডিসির অনুমোদিত একটি সেচ পাম্প থাকলেও উঁচু এলাকাটিতে পানি সরবরাহ করতে না পারায় জমি গুলোতে বোরো ধানের আবাদ করতে পারে না। ওই অবস্থায় চলতি মৌসুমে যেনো কৃষকরা অনাবাদী জমি গুলোতে ফসল ফলাতে পারেন তার জন্য বিএডিসির স্থানীয় কার্যালয়ে মো. পলাশ মিয়া নামে এক কৃষক লিখিত আবেদন করেন। আবেদন পাওয়ার পর বিএডিসির অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এমএ মুন্নাহ সরেজমিন এলাকা ঘুরে পূর্বের সেচ পাম্পটি থেকে একটি অনাপত্তিপত্র জমা দিতে বলেন। কিন্তু সেচ পাম্পের নিয়ন্ত্রক ইলিয়াস মিয়া অনাপত্তি না দেওয়ায় সেচ পাম্প বসানোর অনুমোদন মিলছেনা বিএডিসি থেকে। ওই অবস্থায় অনুমোদনও মিলছে না। এতে জমি গুলো অনাবাদি পড়ে থাকায় শনিবার ফসলের মাঠে সেচের দাবিতে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকরা জানান, দীর্ঘ দিন চেষ্টা করেও তারা পানি পাচ্ছেন না। পানির জন্য সকল কৃষক কষ্ট করছেন। দ্রুত তারা সমস্যার সমাধান চান। পলাশ মিয়া বলেন, তাদের এলাকায় সেচ পাম্প থেকে পানি না দেওয়ায় তিনি নতুন পাম্পের অনুমোদনের জন্য আবেদন করে ছিলেন। কিন্তু জটিলতায় আটকে রয়েছে।’ তবে ইলিয়াস মিয়া বলেন, তার পাম্প থেকে ওই এলাকায় পানি দেওয়া যায় না। তিনি কাউকে বাঁধা দেননি কিন্তু অনাপত্তি দেবেন না। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানো হলে সরেজমিন তদন্ত করে সম্ভাব্যতা থাকলে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।