আমরা সবাই ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। আমাদের মধ্যে শীতকালে ভ্রমণে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। শীতকালকে অনেকেই ভ্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন। শীতকালীন ছুটিতে লম্বা সফরে বেরিয়ে পড়া যায় সহজেই। বিশেষ করে সাজেক যাওয়ার পরিকল্পনা এখন সবার মনেই। আর তাই তো সুযোগ পেলেই সবাই ঢুঁ মারতে যাচ্ছেন অনিন্দ্য সুন্দর এ স্থানে। এ ছাড়া নীলগিরি, নীলাচল, সীতাকুণ্ডুর চন্দ্রনাথ পাহাড় তো রয়েছেই। সব পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্রেই এখন ভ্রমণপ্রেমীদের ভিড়।
পাহাড়ি সৌন্দর্য ব্যাখ্যা করা খুবই কঠিন। পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে মেঘ হাতে নেওয়ার সৌভাগ্য অনেকেরই হয় না। তাই এ অনুভূতি যে কতটা সুখকর, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকেই শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে বা উচ্চতাভীতি থাকায় পাহাড়ে উঠতে পারেন না। তবে তারা চাইলেই নীলগিরি-নীলাচলে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। শীতে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। এতে ভ্রমণ হয় আনন্দদায়ক ও নিরাপদ। তাহলে জেনে নিন সে বিষয়গুলো সম্পর্কে- ১. পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ব্যাগ-প্যাক নিয়ে ভাবুন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক বা জিনিসপত্র নেয়া যাবে না। ব্যাগ ভারি হলে পাহাড়ে উঠতে কষ্ট হবে। ২. পাহাড় ভ্রমনে অবশ্যই পাতলা কাপড় নেবেন। এতে ব্যাগের ওজন হালকা হবে। পারলে শীতের কাপড় একটি রাখাই ভালো। পাহাড়ে যদিও একটু ঠাণ্ডা বেশি। তবে পাহাড়ে ওঠার সময় ঠিকই গরম লাগবে। ৩. জুতার দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। পাহাড়ে যেকোনো সময় স্লিপ কাটতে পারেন। এজন্য অবশ্যই পাহাড়ে ওঠার জন্য ‘কেডস’ পরা উচিত। ৪. শীতকালে রোদ উপভোগ্য হলেও তা শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এসময় শরীরে বেশি সানট্যান দেখা দেয়। এজন্য অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। ৫. ভ্রমণকালে নিজের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন টয়লেট্রিজ যেমন- সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, ব্রাশ, চিরুনি, ভ্যাসলিন, ময়েশ্চারাইজার ইত্যাদি নিতে ভুলবেন না। ৬. ভ্রমণকালে অবশ্যই পাওয়ার ব্যাংক, টর্চ, মোবাইল চার্জার ইত্যাদি সঙ্গে রাখুন। ৭. হালকা শুকনো খাবার সঙ্গে রাখুন। পানির বোতল রাখুন। চা-প্রেমী হলে ছোট্ট একটি ফ্ল্যাক্সও রাখতে পারেন সঙ্গে। ৮. যে ওষুধগুলো খুবই প্রয়োজনীয়, সেগুলো সঙ্গে রাখুন। ৯. পাহাড়ে ফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। এক্ষত্রে নেটওয়ার্ক পায় এমন সিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
১০. মহামারির এ সময় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন। ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখুন।