সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের উত্তর বগাচতর ও দক্ষিণ বগাচতর গ্রাম। এ দু’গ্রামের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বদরখালী খাল। পারাপারের জন্য এই খালের উপর নেই কোন স্থায়ী সেতু। এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করে একটি বাঁশের সাঁকো। বিগত পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ সাঁকো দিয়েই পারাপার হতে হয় দু’পারের ত্রিশ হাজার মানুষকে। তবে এবার দুঃখ ঘুচছে দু’পারের মানুষদের। মোস্তফা হাকিম গ্রুপের নিজস্ব অর্থায়নে খালের উপর নির্মাণ করা হবে ১০৫ ফুট দৈর্ঘ্যের স্টিলের ব্রিজ। ছয় ফুট প্রস্তের এ ব্রিজে অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে গ্রামবাসী। রিকশা ও সিএনজি চলাচলেও সক্ষম হবে প্রস্তাবিত স্টিলের এ সেতুটি। এতে এলাকায় খুশির জোয়ার বইছে। দীর্ঘ দিনের দুঃখ কষ্ট লাঘবের সুরাহা হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা জানান, বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বর্ষাকালে খালের পানিতে সাঁকো অদৃশ্য হয়ে যায়। এপার ওপার তখন পানিতে একাকার থাকে। এক-দুই দিনের নয়, বছরের পর বছর এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই গ্রামের মানুষকে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেকবার দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে। বর্ষায় এ দুর্ভোগ পৌঁছায় আরও চরমে। সাঁকো মেরামতে সরকারি কোনো অনুদানও পাওয়া যায় না। স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান, প্রতিবছর দুই পারের বাসিন্দারা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করতে হয়। চাঁদা তুলে কিনতে হয় বাঁশ-খুটি। গ্রামবাসীর এহেন দূর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগ নেওয়ায় সীতাকু-ের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম ও মোস্তফা হাকিম গ্রুপের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মনজুর আলম’কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দু’পারের সকলে। সৈয়দপুর ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, প্রায় অর্ধ শত বছর গ্রামবাসীকে এ দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এবার সীতাকু-ের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি’র সহযোগিতা ও একান্ত প্রচেষ্টায় মোস্তফা হাকিম গ্রুফের নিজস্ব অর্থায়নে স্টিলের সেতু নির্মাণ করা হবে। এজন্য দিদারুল আলম এমপি ও মোস্তফা হাকিম গ্রুপের চেয়ারম্যান মনজুর আলম’কে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। গ্রামবাসী মোস্তফা হাকিম গ্রুপের এমন জনকল্যাণকর কাজের কথা চিরকাল মনে রাখবে। এ বিষয়ে সীতাকুণ্ডর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম খবরপত্রকে বলেন, দীর্ঘ দিন এলাকার মানুষ পারাপারে কষ্ট পোহাচ্ছে। ঝ্ুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এখানে সেতু নির্মাণ গ্রামবাসীর মূল দাবি।সরকারি বরাদ্দ হতে দেরি হওয়ায় এলাকাবাসীর দুর্দশা লাঘবে আমরা আমাদের পারিবারিক অর্থায়নে এখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে গ্রামবাসী নির্ভিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে। একজন প্রকৌশলীকে ব্রিজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই ব্রিজের কাজ শুরু হবে।