রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন

আমি রাজনীতির জন্য নিজেকে বিসর্জন করে দেব, তবুও মিথ্যা কথা বলব না-আবদুল কাদের মির্জা

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্রার্থী কামাল চৌধুরী ভোটের দিন বলেছিলেন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে। ভোটের পরেরদিন ওনার সাথে দেখা করতে গেলে তিনি আমাকে অভিনন্দন জানান, জামায়াত প্রার্থী মোশাররফ হোসাইনও আমাকে অভিনন্দন জানান। ৩দিন পর আমার মামা কামাল চৌধুরী বললেন ডিজিটাল কারচুপি হয়েছে। জাতীয়ভাবে চাপ আছে, বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গা বিএনপি প্রার্থীরা অভিযোগ করেছে ভোট কারচুপি হয়েছে। তাই আমার মামা সুর পাল্টিয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপে বলেছেন নির্বাচন কারচুপি হয়েছে। মামাকে বলছি আপনি যদি প্রমাণ করে দিতে পারেন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি, তাহলে আমি শপথ নেব না, নতুন করে নির্বাচন হবে। সমবেত ভাইয়েরা এটাকে বলে রাজনীতি। আপনাদের সব কেন্দ্রে সব বুথে এজেন্ট ছিলেন, আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম সবার এজেন্ট আছে কিনা? সবাই বলল আছে। এতকিছুই করার পরও নির্বাচনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি রাজনীতির জন্য নিজেকে বিসর্জন করে দেব, তবুও মিথ্যা কথা বলব না। মির্জা আরও বলেন, বিএনপি হলো কমলাপুর রেল ষ্টেশনের দল, বিভিন্ন দল থেকে এসে এ দলে লোকজন একত্রিত হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, নিক্সন চৌধুরী সাহেব আপনি কি করেন, এদেশের মানুষ জানে, মিডিয়া কর্মীরাও জানে। আমি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের বলবো আপনারা যদি নিক্সন চৌধুরীর মতো এই অপরাজনীতিবিদদের না থামান, গণ আদালতে-একদিন আপনাদেরও বিচার হবে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ২ঘন্টারও অধিক সময়ে বসুরহাট রূপালী চত্ত্বরে সকল ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। কাদের মির্জা বলেন, এদেশে যখন যারা ক্ষমতায় আসে কিছু কিছু লোক মনে করে দেশটা তাদের। নোয়াখালীর একরাম চৌধুরী উপজেলা চেয়ারম্যান জেহানকে দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেন্ডারবাজি করছে। সম্প্রতি ওই দপ্তরের একটি টেন্ডার সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান লিপটনকে পাইয়েও দিয়েছেন। সব দপ্তরে নিজেরা নিজেদের লোক দিয়ে টেন্ডারবাজি করছে। বিনিময়ে ১০/১২ পার্সেন্ট হাতিয়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেন্ডারবাজি বন্ধের কথা বলায় ওই মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম আমাকে ফোন দিয়ে বলেছেন, আমি যেন এ বিষয়ে সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লিপটনের সাথে কথা বলি। তার মানে তারা আমাকে টাকা দিতে চায়, আমি বলে দিয়েছি এটা রি-টেন্ডার হতে হবে। মেয়র কাদের মির্জা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এরা মন্ত্রীত্ব পেয়ে দেশকে লুটপাট করেছে। এসব কথা বললে আমাকে বলে পাগল, আমি নাকি উন্মাদ? অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইস্কান্দার চৌধুরী বাবুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি গোলাম ছরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান মিন্টু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও চরপার্বতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম তানভীর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্নাসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশার লোকজনরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের অনিয়ম উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জেলা উপজেলা প্রতিনিধিদের সাথে গণশুনানী করে ঘুষ বন্ধ করে জনসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। এতে মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে শত শত জনতা মেয়রকে অভিবাদন জানান। জেলা প্রশাসনের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com