গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে এক নারীর সঙ্গে হলমার্ক কেলেঙ্কারির সাজাপ্রাপ্ত বন্দি তুষারের সময় কাটানোর ঘটনায় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার রতœা রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন। তিনি জানান, তাদেরকে প্রত্যাহার করে সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে এ ঘটনায় ডেপুটি জেল সুপার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়। দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম কেলেঙ্কারি হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের ভায়রা ও হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদকে কারা কর্মকর্তাদের কক্ষে নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া একই ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালামকে প্রধান করে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
কারাগারে সিসি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কালো রঙের জামা পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। তিনি সেখানে আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্মা রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে। তাদের সহযোগিতার বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৫৫মিনিটে দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কর্মকর্তাদের কক্ষে প্রবেশ করছেন। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান ডেপুটি জেলার সাকলাইন। ওই নারী প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলাইন। আনুমানিক ১০ মিনিট পর সেখানে বন্দি তুষারকে আনা হয়। এরপর তারা একটি কক্ষে ৪৫ মিনিট অবস্থান করেন।