১২০ রানের হোয়াইটওয়াশ হলো ওঃ ইন্ডিজ
বাংলাদেশ ও ওয়েষ্ট ইন্ডিজের মধ্যকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ অথ্যাৎ তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সোমবার চট্রগ্রামের জহুর আহম্মদ স্টেডিয়ামে। টচে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। তার প্রতিদানও দেয় বলাররা প্রথম ওভারের ৫ ম বলেই লিটন দাসকে ০ রানেই সাজ ঘরে পাঠান জোসেফ, এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে প্যাভিলয়নে পাঠান দলীয় ৪০ রানের সময় মায়ার্স, শান্ত করেন ৩০ বলে ২০ রান। এরপর বিশ্বের এক নাম্বার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান জুটি বাধেন ড্যাসিং ব্যাটস ম্যান তামিম ইকবালের সাথে। দুজনে দেখে শুনেই দারুন খেলছিলেন। দলীয় রানকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বড় স্কোরের দিকে। কিন্তু তামিম ইকবাল জোসেফের বলে আউট হয়ে গেলেন ২৮ ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৩১ রানে ৮০ বল খেলে ব্যক্তিগত ৬৪ রান করে, যার মধ্যে ছিলো এক ছক্কা ও তিনটি চারের মার। সাকিবের সাথে যোগ দেয় মুশফিকুর রহিম। ৩৬.৪ ওভারে দলীয় ১৭৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৮১ বল খেলে ৫১ রান করে সাকিব আল হাসান রেইফারের বলে আউট হয়ে যায়। মুশফিকের সাথে যোগ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ২৫১ রানের সময় ৪৭.২ ওভারে ৫৫ বল খেলে ব্যক্তিগত তামিমের সমান ৬৪ রান করে রেইমন রেইফারের বলে জোসেফের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজ ঘরে ফিরে যায় যার মধ্যে দুটি ছয় ও চারটি চারের মার ছিলো মুশফিকের। মাহমুদউল্লাহর সাথে যোগ দেয় সৌম্য সরকার। ৮ বলে ৭ রান করে রান আউট হয়ে ফিরে যায় সৌম্য সরকার। ইনিংসের চার বল বাকী থাকতে ক্রিজে নামে সাইফুদ্দীন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪৩ বলে ৬৪ রান করে, যার মধ্যে তিনটি চার ও তিনটি ছক্কার মার ছিলো। সাইফুদ্দিন ২ বল খেলে ৫ রান করে এর মধ্যে একটি চারের মার মারে সাইফুদ্দিন। বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে করে ২৯৭ রান। যাহা প্রতিপক্ষের সামনে পাহাড় সম মনে হওয়ার কথা। টাইগারদের ইনিংসে তামিম ইকবাল, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সকলেই ব্যক্তিগত করে করেন ৬৪ রান।
সফরকারীরা ২৯৮ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমেই দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বাঘের হিংস্র থাবায় কুপোকাত হয় অথলি। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যায়। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ৩০ রানে মুস্তাফিজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে দ্বিতীয় শিকার সুনীল এ্যামব্রিজ। এ্যামব্রিজ ১৪ বল খেলে করে ১২ রান। এরপর দলীয় ৪৭ রানে ইন্ডিজের তৃতীয় উইকেটের পতন। ১৩ ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসান এলবিডব্লু করেন কে মায়ার্সকে। মায়ার্স ২৩ বলে করে ১১ রান। ২৪ তম ওভারের প্রথম বলে জেসন মোহাম্মাদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ৩৬ বলে ১৭ রন করে আউট হয়। দলীয় ৯৩ রানের সময় ৫ উইকেটের পতন ঘটে। বোর্নার ৬৬ বলে ৩১ রান করে সাইফুদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। ৩১ তম ওভারে দলের ১১৭ রানের সময় হ্যমিল্টন ১৬ বলে ৫ রান করে মেহেদী হাসানের বলে মুশফিকের কাছে ক্যাচ দিয়ে ছয়তম উইকেটের শিকার হন। পাওয়েল একদিক আলগে রেখে চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন দলের স্কোরকে একটা সন্মানের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু পাওয়েল ১৫৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৯ বলে ৪৭ রান করার পর সৌম্য সরকারের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরে যায়। পাওয়েল দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করে। এই অবস্থায় দলের প্রয়োজন ছিলো ৪৮ বলে ১৩৭ রান। হাতে ছিলো তিন উইকেট, যা মাত্র আনুষ্ঠানিকতা। তখন পরাজয় ওঃ ইন্ডিজকে হাত ছানি দিয়ে ডাকতে শুরু করছে আজ আমাকে তোমাকে বরণ করে নাও। অন্যদিকে জয়ের নোঙর টাইগারদের ঘরের দরজায় এসে আলিঙ্গন করার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। অবশেষে ৪৪.২ ওভারে সব কয়টি উইকেট হাডিয়ে ১৭৭ রান করতে সক্ষম হয় ওঃ ইন্ডিজ। বাংলাদেশ জয়ী হয় ১২০ রানে।
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ ২৯৭/৬ তামিম ইকবাল ৬৪, সাকিব ৫১ , শান্ত ২০, মুশফিক ৬৪, মাহমুদুল্লাহ ৬৪, সাইফুদ্দিন ৫,
জোসেফ ২ , মায়ার্স ১, রেইফার ২ উইকেট নেয়।
ওঃ ইন্ডিজ ১৭৭/১০, বোর্নার ৩১,পাওয়েল ৪৭, মায়ার্স ১১, অথলী ১, জেসন মোহাম্মাদ ১৭, এ্যামব্রিজ ১২,
মুস্তাফিজ ২, মেহেদী ২, হাসান,সাইফুদ্দিন ৩, সৌম্য সরকার ১, তায়কিন ১।
ম্যান অফদা ম্যাচ-
ম্যান অফদা সিরিজ-