রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন

১২ হাজার হেক্টর ফসলের জমি হুমকির মুখে-আদমদীঘির আপার নাগর ভেলী নদীর ৬ কিঃ মিঃ বাঁধ নির্মাণের স্থলে ৫৮৪ মিটার নির্মাণ

আদমদীঘি প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২১

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আপার নাগর ভেলী নদীর ৬ কিঃ মিঃ বাঁধের স্থলে মাত্র ৫৮৪ মিটার বাঁধ পুণঃ নির্মাণ করা হয়েছে। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে এ নির্মান কাজ করা হয়। অবশিষ্ট ৫ হাজার ৪১৬ মিটার বাঁধ পুনঃ নির্মাণ না করায় নদী এলাকায় ১২ হাজার হেক্টর ফসলী জমি হুমকির মুখে পড়েছে। এ নদী দিয়ে এক সময় কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ নৌকা যোগে যাতায়াত করত। সময়ের পরিবর্তে দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না করা ভূমি দস্যুদের নদী থেকে বাঁধ কেটে মাটি বিক্রি ও বালি উত্তোলন করায় এই নদী এখন অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। ফলে নদীর বাঁধ নাজুক হয়ে পড়ায় নদী এলাকার ফসলের জমি গুলো বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ভেঙ্গে বন্যায় প্লাবিত হয়ে ফসল নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, এক সময় এই এলাকার রাস্তা-ঘাট গুলো কাঁচা জলামগ্ধ ছিল। সে সময় কোন যানবাহন চলাচল বা ব্যবহার ছিল না। ওই সময় দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ এই নদী পথে নৌকা যোগে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকত। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের কাচারী বাড়ী নওগাঁর পতিসর থেকে নৌকা যোগে তিনি এই নদী দিয়ে যাতায়াত করতেন। কালের বিবর্তে নদীটি এখন মৃত অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। আপার নাগর ভেলীর নি¤œ এলাকায় আদমদীঘির চাঁপাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার পার্শ্ববর্তী উপজেলার নন্দীগ্রাম উপ-প্রকল্পের বিষ্ণুপুর নামক স্থানে ১৫০০ মিটার মার্জিনাল ডাইক নির্মাণ করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবী এ নদীটি পুনঃ খনন করে টেকসই মজবুত ভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হলে নদীটি আবারও প্রাণ ফিরে পাবে এবং নদী এলাকার ফসলী জমিগুলো বন্যা থেকে মুক্ত হবে। এ নিয়ে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার আব্দুল মোকছেদ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা যে ভাবে বরাদ্দ চাই তা সঠিক ভাবে পাওয়া যায় না। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) প্রবীর কুমার পাল জানান, নদীটি পুনঃ খনন ও বাঁধ নির্মাণ কাজের জন্য আমাদের যথেষ্ট প্রচেষ্টা রয়েছে। কেবল মাত্র আর্থিক সংকটের কারণে আমরা বার বার বরাদ্দ চেয়েও ব্যার্থ হচ্ছি। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে আমরা দ্রুত কাজ গুলো সমাপ্ত করতে পারবো। নওগাঁ পানি বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, আমরা এ লক্ষ্যে একটি ডিপিপি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেছি। ওই ডিপিপিটি পাশ হলে এবং অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তিনি আশা করছেন চলতি অর্থ বছরে ডিপিপিটি পাশ হতে পারে। ৃ




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com