বরিশাল সদর উপজেলার ১০নং চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের চন্দ্রমোহন বাজার সংলগ্ন ৩৮ শতাংশ সরকারী খাস জমিতে দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস ব্যাবসা –বানিজ্য করা পুরাতন অসহায় ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা স্থায়ীভাবে লিজ পাবার আবেদন করার পরও শধু ভূমি কর্মকর্তাদের মনমত টাকা দিতে না পারার কারনে বাজারের অসহায় ব্যবসায়ীদেরকে জমি লিজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে মোটা অংকের টাকার ঘুষ লেন-দেনের বিনিময়ে তাদেরকে উৎক্ষাত করে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমি কর্মকর্তা ও (তহশিলদার) আঃ সোবহান লাবুর ব্রোকারীর ব্যবস্তাপনার মাধ্যমে এবং নিজস্ব আপন-জন সহ বিভিন্ন মানুষের নামে ডিসিআর কেটে লিজ এনে উক্ত জমি বন্টন করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গেলে ব্যবসার ভিটা হারানো অসহায় ক্ষ্রদ্র ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে করে বলেন চন্দ্রমোহন ভূমি অফিস সহ বরিশাল সদর ভূমি অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অসাধু কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে পূর্বের পুরানো ব্যবসায়ীদের আবেদনের কাগজ অফিস থেকে সরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে নেপথ্যে পিছনে থেকে নিজ একাধিক পরিবারের সদস্য সহ বিভিন্ন ব্যাবসায়ীদের কাছে প্লট দিয়ে বিভিন্ন ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে জন প্রতি ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার মাধ্যমে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের তির উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী এলাকাবাশী ও বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ভূমি অফিসের (তহসিলদার) আঃ সোবাহান লাবুর বিরুদ্ধে। এসময় আরো অভিযোগ উঠেছে লাবুর মাধ্যমে নতুন করে জমি লিজ পেয়ে সেসকল ব্যবসায়ীরা দখলের সাথে সাথে সেখান কয়েকজন অসহায় ব্যাক্তির রেকডিয় সম্পত্তি থেকে উৎক্ষাৎ করে তাদের জমি দখল করে নিয়েছে। এলাকায় তথ্য অনুসন্ধানকালে লক্ষ করা যায় যারা সোবহান লাবুর মাধ্যমে জমি পেয়েছে তাদের মধ্যে লাবুর আপনভাই শাহিন হাওলাদার, চাচাতো ভাই মোঃ কবির হাওলাদার সহ বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন আর তাদের লোকজন বাজারের বিভিন্নস্থানে ঘোড়া-ফেরা করার কারনে জমি হারানো অসহায় ব্যবসায়ীরা সরাসরি মুখ খুলে সংবাদ কর্মীদের কাছে যেন কিছু বলতে ভয় পাচ্ছে। এক প্রর্যায়ে সংবাদ কর্মীদের মুখামুখি হয়ে প্রতিবন্ধী বেল্লাল রাঢ়ি তার পূর্বের দোকানের জমিটা দেখান। কিন্তু ভূমি অফিসের সাবেক তহশিলদারের কারনে সেই দোকানের জমিটুকু কেড়ে নেয়ার ফলে প্রতিবন্ধী বেল্লালের এখন ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় সে দেখছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। শুধু প্রতিবন্ধী বেল্লাল রাঢ়ি একা নয় এরকম অনেকের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের জমি ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজসের মাধ্যমে তাদের পথে বসিয়ে টাকাওয়ালাদের জমি পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন চন্দ্রমোহন ভূমি অফিসের সাবেক তহসিলদার ও ভূমি কর্মকর্তারা। এসময় আরো অভিযোগ করেন রেকডিয় জমির মালিক নির্মাণ শ্রমিক আব্দুল লতিফ ফকির ও আদম আলি হাং তারা জানান লিজ গ্রহনকারীরা লিজের জমির সাথে তাদের সাড়ে তিন শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছে। এখন তাদের দাপটের কাছে তারা ভিড়তে পারছে না সেই জমিও উদ্ধার করার জন। এব্যাপারে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্য আঃ করিম আকন বলেন, এখানে যারা পূর্বে ব্যবসা করতেন তাদেরকে ভূমি অফিস লিজ না দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রভাবশালীদের লিজ দেয়ার কারনে পুরান ব্যবসায়ীরা জমি হারা হয়েছে। তাই তারা বরিশাল জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করে বলেন তিনি একবার সরেজমিনে এসে ঘটনা তদন্ত করে অসহায় ভূমিহীন উৎক্ষাত করা ব্যবসায়ীদের প্রতি যদি সু-বিচার করে তাহলে আমরা আবার ব্যবসা-বানিজ্য করে খেয়ে পড়ে বাচতে পারব। এব্যাপারে চন্দ্রমোহন বাজার কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক দেলওয়ার বেপারীর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাজারের খাস জমি থেকে পুরাতন ব্যববসায়ীদের উৎক্ষাত করার বিষয় তার কাছে জানতে চাইলে তিনি রহস্যজনকভাবে প্রশ্ন এড়িয়ে বলেন এখানে সবাই যার যার ভিন্নভাবে আগে আবেদনের সাথে আইডি কার্ড জমা দিয়ে সরকারী অর্থ জমা দিয়ে জমি পেয়েছে। যারা পাইনি তারা হয়ত দেরিতে আবেদন করার আগেই জমি দেয়া হয়ে গেছে এখানে কোন অনৈতিক ঘটনা জন্ম হয়নি এবং বিষয়টি চেয়ারম্যানও জানেন। এবিষয়ে বরিশাল সদর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, এধরনে ঘটনা ঘটে থাকলে তা আমার আসার আগে হতে আমি আসার পর কোন ঘটনা ঘটেনি।