মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন

আইপিএল নিলামে চমক হবেন ৪ অচেনা খেলোয়াড়!

স্পোর্টস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

শনিবার শেষ হয়েছে ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি। ম্যাড়ম্যাড়ে ফাইনাল ম্যাচে বারোডাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তামিল নাড়ু। আইপিএল শুরুর আগে এ টুর্নামেন্ট ভারতের স্থানীয় খেলোয়াড়দের প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ।
টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রান করেছেন তামিল নাড়ুর নারায়ণ জাগদেসান। তিনি ৮ ম্যাচে ৪ ফিফটির সাহায্যে করেছেন ৩৬৪ রান। বল হাতে সবার সেরা বিহারের বাঁহাতি স্পিনার আশুতোষ আমান। ছয় ম্যাচ খেলে আশুতোষের শিকার ১৬ উইকেট।
তবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে আসন্ন আইপিএল নিলামে চমক হয়ে আবির্ভাব ঘটতে পারে অন্য চার খেলোয়াড়ের। যারা বেশ কিছু ম্যাচে দিয়েছেন নিজেদের টি-টোয়েন্টি সামর্থ্যের প্রমাণ। তাদের নিয়েই এখন আলোচনা চলছে ভারতের সংবাদমাধ্যমে।
তারা হলেন- কেরালার মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, বারোডার বিষ্ণু সোলাঙ্কি ও লুকমান মেরিওয়ালা এবং তামিল নাড়ুর এম মোহাম্মদ।
মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন (কেরালা): কেরালার ২৬ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন আলোচনায় এসেছেন মুম্বাইয়ের বোলারদের ছাতু বানিয়ে ১৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার মাধ্যমে। পুরো টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচে ১৯৪.৫৪ স্ট্রাইকরেট ও ৫৩.৫০ গড়ে ২১৪ রান করেছেন তিনি।
কেরালা থেকে এরই মধ্যে শ্রীশান্ত, শচিন বেবি, সানজু স্যামসন, সন্দ্বীপ ওয়ারিয়ার এবং বাসিল থাম্পিরা খেলেছেন আইপিএলে। এবারের নিলাম থেকে যেকোনো দলে সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন আজহারউদ্দিনও।
বিষ্ণু সোলাঙ্কি (বারোডা): সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে ৫ ম্যাচ খেলে আসরের পঞ্চম সর্বোচ্চ ২৬৭ রান করেছেন বারোডার ডানহাতি ব্যাটসম্যান বিষ্ণু সোলাঙ্কি। তিনি হয়তো অন্যদের মতো মারমুখী ছিলেন না। তবে প্রতি ম্যাচেই ছিলেন ধারাবাহিক এবং খেলেছেন ঠা-া মাথায় পরিস্থিতি বুঝে।
বিশেষ করে হরিয়ানার বিপক্ষে শেষ বলের ছক্কায় ম্যাচ জিতিয়ে বারোডাকে কোয়ার্টার ফাইনালে জিতিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া শেষ ষোলোতে ৫৯ এবং শেষ আটের ম্যাচে ৭১ রান করেন তিনি। এছাড়া সবশেষ ফাইনাল ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে দলের সর্বোচ্চ ৪৯ রান।
লুকমান মেরিওয়ালা (বারোডা): বারোডা ২৯ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার লুকমান মেরিওয়ালা। সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ছত্তিশগড়ের বিপক্ষে মাত্র ৮ রান খরচায় নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। পুরো টুর্নামেন্টে তার বোলিং ইকোনমি রেট ছিল মাত্র ৬.৫২। যা নজর কেড়েছে সবার। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে ৪২ ম্যাচে ৭২ উইকেট রয়েছে তার নামের পাশে।
এম মোহাম্মদ (তামিল নাড়ু): চ্যাম্পিয়ন তামিল নাড়ু দলের ডানহাতি পেসার এম মোহাম্মদ। দিন্দিগুলের এ পেসার সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট। তার ইকোনমি ছিল ৬.৮১। দিন্দিগুল ড্রাগনস ও লাইকা কোভাই কিংসের হয়ে তামিল নাড়ু প্রিমিয়ার লিগে ভালো করে আলোচনায় আসেন তিনি। এখন দেখার বিষয় তারা আইপিএলে সুযোগ পান কি না?




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com