রাষ্ট্রীয় পাটকল-চিনিকল সরকারের পরিচালনায় চালুর আহ্বান
বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রীয় ২৫টি পাটকল এবং ৬টি চিনিকল সরকারের পরিচালনায় চালু ও আধুনিকায়ন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগ এবং আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধসহ ৯ দফা মেনে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। গতকাল মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনের নেতারা বলেন, স্কপ সুনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছিল মাত্র একহাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন করে লাভজনক করা সম্ভব। কিন্তু সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত আমলাতন্ত্রের সুপারিশে লোকসানের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রীয় পাটকলগুলো বন্ধ করে করোনাকালে হাজার হাজার শ্রমিককে বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিলো। পর্যায়ক্রমে চিনিকলগুলো বন্ধ করার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৬টি চিনিকলের উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় পাটকল ও চিনিকল সরকারি মালিকানায় চালু ও আধুনিকায়ন করার দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, সাধারণ আয়-ব্যয়ের পার্থক্য দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের লাভ-লোকসান নির্ধারিত হতে পারে না।
ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আউট সোর্সিং বন্ধ করে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা আরও বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন দুর্বল করে আমলাতন্ত্রের দুর্নীতির সুযোগ বিকশিত করা হয়েছে। নেতারা আইএলও কনভেনশনের অনুসরণে শ্রম আইন ও বিধিমালার সংশোধন করাসহ স্কপের ৯ দফা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) যুগ্ম সমন্বয়ক জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্কপের অপর যুগ্ম সমন্বয়ক বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন,জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঙ্ঘের সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আমিন বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আক্তার চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জাতীয় শ্রমিক লীগের ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ হোসেন।