সিজিএস’র ওয়েবিনারে বক্তারা
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, এনজিও এবং নাগরিক সমাজের অংশ্রহণের ভিত্তিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার প্রস্তুতি গ্রহণের সুপারিশ করেছে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওয়েবিনারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সংগঠনটি এই সুপারিশ করে। বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়নয় স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ। সিজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চলনায় আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে ড. আলী রীয়াজ বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দুর্নীতি প্রতিরোধ, দক্ষতা ও আইনের শাসনের যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। স্বাস্থ্যখাতে সমন্বয়হীনতা, ত্রাণ বিতরণে অনিয়মসহ নানা ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে যা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। করোনা মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতিরও ব্যাপক ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। এ অবস্থায় আসন্ন করোনার পরবর্তী ঢেউ মোকাবেলায় সরকারকে কৌশল নির্ধারণের সুপারিশ রাখেন ড. রীয়াজ। সেই সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অপব্যবহার রোধের সুপারিশ রাখেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন বলেন, করোনাকালীন সময়ে সামাজিক অস্থিরতা বেড়েছে।
যৌন হয়রানি, পারিবারিক সহিংসতা, শিশু নির্যাতন এমনকি আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে। দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়েছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতা লক্ষ্যনীয় ছিল।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা শুধু স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। কিন্তু একই সঙ্গে একটা প্রজন্মের ভবিষ্যত শিক্ষাজীবন নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। অটোপাসের মাধ্যমে যারা উত্তীর্ণ হলো তাদের মান নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে। চট্টগ্রামের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের সুশাসনের ঘাটতি নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি সময় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আমরা লক্ষ্য করেছি সবাই যেন জবাবদিহিতার বাইরে। এই ধরণের নির্বাচনকে আমি ১০ এর মধ্যে ৪ নম্বর দেব।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশের শাসন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। আইন শাসকদের স্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লোকজন জনগণের টাকা লুট করছে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে নাগরিকরা। আগে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলতো। এখন আর্থিক দুর্নতির অভিযোগ তুলছে। সরকারি দপ্তরে শুধু সরকারি দলের লোকজন সব সুবিধা পায়।