পটুয়াখালীর দশমিনার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দূর্গম চরাঞ্চলসহ সাত ইউনিয়নের দুই শতাধিক গভীর নলকূপ অকেজো হওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে পুকুর ও খালের পানি পান করে ডায়রিয়া পেট ব্যাথা সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন চরাঞ্চলের মানুষ। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিষ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও ব্যবহারসীমা শেষ হওয়ায় উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক গভীর নলকূপ অকেজো হয়ে গেছে। অকেজো হওয়া গভীর নলকূপের মধ্যে অধিকাংশ দূর্গম চরাঞ্চলে। গত প্রলয়নকারী ঘূর্নিঝড় আম্পানের আঘাতে ৬১টি সরকারী নলকূপ অকেজো হয়ে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরবোরহান, চরশাহজালাল,চরহাদী, চর-বাঁশবাড়িয়া, পাতারচর ও চরঘূর্নি এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট চরমে। চর-বোরহানের ইউপি চেয়ারম্যান নজির আহমেদ সরদার জানান, ঘূর্নিঝড় আম্পানের আঘাতে শতাধিক সরকারি অকেজো নলকূপ মেরামত না করায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে চরের মানুষ এখন বাধ্য হয়ে পুকুর,ডোবা অথবা খালের পানি পান করছেন। আউলিয়াপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মোঃ বাহাউদ্দিন লাবু জানান, চরের মানুষের পানি বাহিত রোগ বালাই এখন প্রধান সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা অধিকাংশ রোগী পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত। হাজিরহাট কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি কারিবুল ইসলাম জানান, সেবা নিতে আসা চরের মানুষের অধিকাংশই পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত। দশমিনা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পানি বাহিত রোগীর সংখ্যা দশমিনা হাসপাতালে বাড়ছে তবে চরাঞ্চলের রোগীরা কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান শাহীন জানান, ক্ষতিগ্রস্থ্য নলকূপ তালিকা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে প্রেরন করা হয়েছে।