সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন

কাশ্মীরি আপেল কুল বরই চাষে স্বাবলম্বী হিলির রাজ্জাক

মোসলেম উদ্দিন হিলি (দিনাজপুর) :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

সুস্বাদু আর মিষ্টি কাশ্মীরি আপেল কুল বরই চাষে স্বাবলম্বীর স্বপ্ন দেখছেন দিনাজপুরের হিলির আব্দুল রাজ্জাক। ২ লাখ টাকা ব্যয়ে, ৭৪ শতক জমিতে বরই বাগান করেছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় আড়াই লাখ টাকার বরই বিক্রি করবেন তিনি। আব্দুল রাজ্জাকের কাশ্মীরি আপেল কুল বরই বাগানটি হিলির প্রথম। হিলির রাঙামাটি গ্রামের আব্দুল রাজ্জাক পেশায় একজন কোম্পানির চাকুরীজীবি। নিজেকে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্য তার এই বাগান তৈরি করা। দুই বছর আগে কাশ্মীরি আপেল কুল বরই চাষ শুরু করেন। যশোর থেকে ১০০ টাকা দরে ৬০০ টি কলমি কাশ্মীরি আপেল কুলের চারা সংগ্রহ করেন। প্রতিটি চারা প্রায় দেড় ফুট লম্বা। চারা লাগানোর চার মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফল আসতে শুরু করে। প্রথম বছরে ৬০ হাজার টাকার বরই বিক্রি করেছেন তিনি। দ্বিতীয় চলতি মৌসুমে বাগানের প্রতিটি গাছে বরয়ে ছেঁয়ে গেছে। ফলের ভারে গাছসহ ডালগুলো নিচে নুয়ে পড়েছে। বাঁশের খুঁটি দিয়ে আগলে রাখা হয়েছে। পাখির হাত থেকে বরই গুলোকে রক্ষা করার জন্য পুরো বাগানের উপর নেট-জাল দিয়ে ঢাকা হয়েছে। বাগানটি পাহারা দেওয়ার জন্য বাগানের এক পাশে উঁচু করে টোল টাঙানো হয়েছে। রাতে বাগান মালিক টোলে বসে বাগানটি পাহাড়া দেন। আর মাত্র দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিটি গাছ থেকে বরই পারা হবে। বাজারে এই আপেল কুল বরয়ের খুচরা মুল্য ১০০ টাকা কেজি। বাগান মালিক বরই গুলো পাইকারি বিক্রি করবেন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে।প্রথম বছরে ৬০ হাজার, চলতি বছরে বিক্রি করবেন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। খরচ বদ দিয়ে, দুই বছরে তিনি লাভ করবেন এক লাখ দশ হাজার টাকা। মোট পাঁচ বছর যাবৎ পর্যাপ্ত আপেল কুল বরই পাবেন বাগান মালিক। বাগান মালিক আব্দুল রাজ্জাক বলেন, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং সংসারে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভাল থাকার জন্য, চাকরির পাশাপাশি এই বরই বাগান তৈরি করা। প্রতি বছর এই বাগান থেকে আমি প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা আয় করতে পারবো। বর্তমান আমি এখান থেকে কলমি চারা তৈরি করতে শুরু করেছি। চারা থেকেও আমার বাড়তি আয় আসবে। আশা করছি বরইগুলো বিক্রি করলে আমার আর কোন অভাব থাকবে না। প্রতিবেশী লিয়াকত আলী বলেন, রাজ্জাকের বরয়ের বাগানটি আমাদের গ্রামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। রাস্তার পাশে বাগানটি হওয়ায়, বাহির থেকে লোকজন দেখতে আসছে। তার বাগান দেখে আমিও আমার দেড় বিঘা জমিতে এই জাতের কাশ্মীরি আপেল কুল বরই বাগান করবো। হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা জানান, উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে মোট ১৬ টি বরই বাগান রয়েছো। প্রতিটি বাগানে এবার ভাল ফলন হয়েছে। রাঙামাটি গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের আপেল কুল বরই বাগানটি প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করছি। তার বাগানের বরই খুবই সুস্বাদু এবং মিষ্টি। তার বাগান দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক এরকম লাভজনক বরই বাগান তৈরি করতে উৎসাহি হয়ে উঠছেন। ভাল ফলনের জন্য রাজ্জাকের বাগানসহ উপজেলার সব বাগান মালিকদের পরামর্শ সহযোগিতা করে আসছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com