শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন

মেলান্দহে নির্যাতিত আওয়ামী পরিবারের মাফল আবারো নৌকার মাঝি হতে চান

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

মেলান্দহের দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সফল মাহফুজহল হক মাফল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪নং নাংলা ইউনিয়ন পরিষদের পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্যাতিত আওয়ামী পরিবার থেকে পুনরায় নৌকার মাঝি হতে চায় বর্তমান চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক মাফল। জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দেওলাবাড়ী গ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য আলহাজ আব্দুল কাউয়ুম এর বড় ছেলে। জন্ম ১৯৫৮ সাল। মেলান্দহ উমির উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যার পথযাত্রা। সেই সময় বাবা আব্দুল কাউয়ুম বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সহচার্যে আওয়ামীলীগের একনিষ্ট কর্মী হিসেবে মেলান্দহ উপজেলায় স্বক্রিয় ভুমিকা পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন দুঃসময় পার করেন। চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক মাফল ১৯৮৫ সাল হতে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ২০০৫ হতে ২০১২সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক এবং ২০১২ হতে অধ্যবধি পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রথম বাবের মতো ৪নং নাংলা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান। মাফল চেয়ারম্যান ৭ ভাই ২ বোনের মধ্যে বড়। জামালপুর জেলার মধ্যে শতভাগ আওয়ামীপন্থী (সকল আত্মী স্বজনসহ) পরিবার কোথাও নেই। তার বাবা ও ভাই -বোনেরা কেউ আওয়ামীলীগ ছাড়া আআত্মীয় করেনি। তার ছোট ভাই মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জিন্নাহ, আরেক ভাই প্রভাষক রফিক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরেক ভাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক, আরেক ভাই ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি। ছোট ভাই মো: শফিকুল ইসলাম শফিক ইউএসএ আওয়ামীলীগের সদস্য, সাবেক মেলান্দহ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট গেনেড হামলার নিহতদের স্মরনে শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত গায়েবেনা জানাজায় জোট সরকারের সন্ত্রাসীদের ছুড়া গুলিতে গুলিবৃদ্ধ ও মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ে ভাগ্যের জোরে বেঁচে থাকা এবং মির্জা আজম এমপির তত্বাবধানে মাথায় গুলি নিয়ে জীবিকার তাগিদে আমেরিকায় স্বপরিবারে অবস্থান করছে। ভাতিজা এডভোকেট নাজমুল ইসলাম খোকন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মাফল চেয়ারম্যান ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় শতভাগ বিদ্যুৎয়ান, প্রায় সকল রাস্তা পাকা করণ এবং ব্রীজ কার্ভাড তৈরি, মাদক, বাল্যবিবাহ, চুরি-ডাকাতি নির্মুলে সবসময় সোচ্চার থেকে মডেল ও উন্নত ইউনিয়নের নাগরিক সুবিধাসহ বিনামুল্যে ভিজিডিকার্ড, বয়স্ক-বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা, দুর্যোগকালীন ত্রাণ সহায়তা সহ গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিরোধ মিমাংসা, মসজিদ-মাদ্রাসায় সরকারী অনুদানের পাশাপাশি নিজস্ব তহবিল থেকে উন্নয়ন করে ইউনিয়নবাসির ও নিজ দলীয় সর্বস্তরের লোকের ভালবাসা অর্জন ও এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে তাকে আবারও চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক মাফল তার রাজনৈতিক জীবনের দুঃসময়ের স্মৃতির কথা ব্যক্ত করে বলেন- এমন সময় গেছে যেদিন কেন্দ্রে এজেন্ট হতে দেয়া হয়নি আমার পরিবার সদস্যরা জীবনবাজি রেখে এজেন্ট হয়ে কেন্দ্রে অবস্থান করলে বিএনপি নেতারা আমাদেরকে অপমান করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। ৮/১০ টি মামলার আসামী করা হয়েছিল ৪/৫ বার কারা বরণ করেছি। একাধিকবার আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়ছে। উপজেলা কোথায় কিছু হতে না হতে আমাদের উপর মামলা হামলা হতো।কোন সময় ঠিকমতো রাতে ঘুমাতে পারতামনা।জীবন বাঁচানোর তাগিদে রান্নাঘরে গোয়ালঘরে বাঁশঝারে-চৌকি ও খাটের নিচে, মাদারগঞ্জে রাত কাটতে হতো।২০০১ সালে বিএনপি বিজয়ী হলে সকালেই আমার ঘরের সামনে বিএনপির ক্যাডাররা অনেক গুলি বোমা ও ককটেল ফোটায়, স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আমি তখন ঘরেই অবস্থান করছিলাম ককটেলের বিকট শব্দ শোনে ছোট মেয়েটি চিৎকার করে গলা ঝাপটে ধরে মেয়ের কান্না দেখে আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি মেয়েদের নিয়ে আত্ম রক্ষার জন্য চৌকির নিচে লুকিয়ে পড়ি, সন্ত্রাসীরা বাড়িঘর ভাংচুর করে চলে যায়। এসময় তিনি আবেগ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। মাহফুজুল হক মাফল দৈনিক খবর পত্রের সংবাদদাকে বলেন, বিগত দিনে আমি চেষ্টা করেছি ইউনিয়নবাসীর সেবক হয়ে আমার দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে মানুষের সেবক হিসেবে চেয়ারম্যান বানিয়ে ৫ বছরের জন্য দায়িত্ব পেয়েছিলাম তবে এটা বলতে পারি আমার দ্বারা কেউ হয়রানি বা কোন অসহায় মানুষ ফিরে যায়নি। কর্ম, ন্যায়পরায়ণতা ও দলীয় শৃঙ্খলা দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মির্জা আজম এমপি এবং জেলা-উপজেলা নেতৃবৃন্দ আমাকে ৪ নং নাংলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন দিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে সুযোগ দিলে, তাহলে আমি নির্বাচন করবো আর যদি দলীয় মনোনয়ন আমায় না দেয়, তাহলে যে নৌকা প্রতীক পাবে আমি দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নৌকার পক্ষেই কাজ করবো ইনশাল্লাহ। তিনি আরও বলেন আমি গরিব দুঃখী মানুষের পাশে আছি। দলীয় মনোনয়ন পেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নৌকার সম্মানে এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com