শ্রীলেখা বরাবরই তিনি স্পষ্টবক্তা। সোজা কথা সোজাসুজি বলতেই ভালোবাসেন। এবারও সেই পন্থা অবলম্বন করলেন। টলিউড ইন্ডাস্ট্রির তারকারা রাজনীতির ময়দানে ‘শিক্ষানবিশ’ হিসেবে অভিষেক ঘটাচ্ছেন, এবার তা নিয়ে মুখ খুলেছেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ‘আইপিএলে যে দল বেশি টাকা দিচ্ছে, সেই দলের কাছে চলে যাচ্ছে। এরা সব সেলেব। আর্টিস্ট নন। শিল্পীকে কেনা যায় না। শিল্পী নিজের শ্রম বিক্রি করেন, নিজেকে বিক্রি করেন না। সেলেব শব্দটা নিজের ক্ষেত্রে প্রয়োগে বরাবরই আপত্তি করেছি।’কলকাতার তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলেন টলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন ঘিরে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন শুরু হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত, সৌমিলি বিশ্বাস, পাপিয়া অধিকারীসহ একঝাঁক সিনেমা ও টেলি তারকা। অন্যদিকে কিছুদিন আগে যোগ দিয়েছেন দীপঙ্কর দে, ভরত কল, সৌরভ দাস, রুদ্রনীল ঘোষের মতো অভিনেতা। নির্বাচনের মুখে টলিউডের এই দলবদলের রাজনীতিকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেননি শ্রীলেখা। তার ভাষায় ‘ক্ষমতা আর টাকার লোভে দলে দলে যোগ দিচ্ছে। আমাকেও টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছিল। আমি বরাবরই ইমপালসিভ। অফার শুনেই এত রাগ হলো যে, বাজারে আমার দর কত, তা আর জানা হলো না।’ রাজনৈতিক এই দলবদলের মঞ্চে শ্রীলেখা তার অবস্থান জানিয়ে বলেন‘মানুষের পাশে থাকার জন্য রাজনীতির দরকার হয় না। আমি যখন আম্ফানের পর ত্রাণ নিয়ে গিয়েছিলাম, কুকুরদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলাম, তখন তো রাজনীতি লাগেনি। আমি একা নই, আমার সঙ্গে বহু সাধারণ মানুষ এসব কাজ করেন।’
বেশ কিছুদিন ধরে বামফ্রন্ট আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেখা গিয়েছে শ্রীলেখাকে। সাধারণ দর্শকের প্রশ্ন আপনি বাম রাজনীতি নিয়ে এত সরব কেন? জবাবে শ্রীলেখা বলেন ‘আমি বরাবরই বাম মনোভাবাপন্ন। বিভিন্ন মঞ্চে গিয়েছি ঠিকই। কিন্তু আমি দলের সদস্য নই। আর এখন যা পরিস্থিতি সবটাই তো প্রকাশ্যে। তবে আমি বামদেরও সমালোচনা করি। এখন যেসব সেলেব বিভিন্ন দলে যাচ্ছেন, তারা যখন বিয়েতে ঘটা করে তৎকালীন নেতা-মন্ত্রীদের নিমন্ত্রণ করেছিলেন, সেসব বিয়েতে নেতাদের যাওয়া উচিত হয়নি। এই সমালোচনাও কিন্তু আমি করেছি।’