সরকার নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এবং তাদের কুকীর্তি আর আল জাজিরার রিপোর্ট অন্যদিকে প্রবাহিত করতে শহীদ জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, খেতাব কেড়ে নিয়ে জিয়াকে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলতে পারবেন না। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা: হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা: আবদুস সালামের পরিচালনায় আরো অংশগ্রহণ করেন ড্যাবের সহ-সভাপতি ডা: সিরাজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ডা: জহিরুল ইসলাম শাকিল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা: মেহেদী হাসান, যুগ্ম মহাসচিব ডা: শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডা: এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা: শেখ ফরহাদ, ডা: দোলন, ডা: পারভেজ রেজা কাকন, ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, শহিদুল আলম, ডা: রফিকুল ইসলাম, ডা: মিজানুর রহমান, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, ডা: নিলোফা ইয়াসমিন, ডা: ফারুক আহমেদ, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গোলাম মাওলা শাহিনসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
আজকে দেশে অনেক তন্ত্র আছে। আওয়ামী লীগের মিথ্যা তন্ত্র আছে। কিন্তু গণতন্ত্র নেই মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আজকে গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে আমাদের এই আন্দোলন। গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখার পর এখন গৃহবন্দী করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী বলেছেন, সরকারের কুকীর্তি নিয়ে আলজাজিরার রিপোর্টের পেছনে বিএনপি-জামায়াতের হাত রয়েছে। আসলে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে বলবে যে বাংলাদেশে করোনার পেছনেও বিএনপি-জামায়াতের হাত রয়েছে। এরা বিকৃত রুচিতে ভুগছে।
তিনি আরো বলেন, আজকে নেয়াখালীতে ওবায়দুল কাদের দুটি গ্রুপ তৈরি করে রেখেছেন। সেখানে তার ভাই মির্জা কাদেরের আন্দোলনে নিরীহ সাংবাদিক মুজাক্কিরকে প্রাণ দিতে হলো। এই হত্যাকাণ্ডের দায় প্রধানমন্ত্রীর। এই হত্যার দায় ওবায়দুল কাদেরের। তবুও তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। ওদের সমস্ত লজ্জা ধুয়ে মুছে নিচে ফেলে দিয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের খেতাব কেড়ে নিলে দেশের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়। মুক্তিযোদ্ধা (অবসরপ্রাপ্ত) মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ৮০ মুক্তিযোদ্ধা লড়াই করেছেন। অথচ আওয়ামী লীগ তালিকা করছে আড়াই লাখ।