নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কৈমারী কয়লা ব্রীজের পার থেকে গাবরোল পাচঁ মাথা হয়ে বড়ঘাট মাঝাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার কাঁচা (মাটির) রাস্তাটি ৪৫ বছরেও পাকা না করার কারণে ৭টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু রাস্তাটি স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও পাকাকরণের কেউ কোন উদ্যোগ নেইনি নজর ও দেয়নি। যা আজও এ এলাকার মানুষের চলাচলের কষ্টের কারণ।তাছাড়া বড়ঘাট রংপুর, জেলা শহর নীলফামারী যাতায়াত করার এক মাত্র সহজ রাস্তা এটি। এলাকাবাসী জানান, কৈমারী কয়লা ব্রীজ থেকে মাঝাপাড়া বড়ঘাট রাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার কাঁচা (মাটির) রাস্তা দিয়ে যে সকল গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে সে সকল গ্রামগুলো হলো কয়লা,ব্রীজের পাড়,বসনিয়া পাড়া,মাস্টার পাড়া,গাবরোল হাজীপাড়া, তেঁতুল তলা,টগড়ার ডাঙা, বালা পাড়া,তাতী পাড়া, ঈদগাঁ মাঠ পাড়া গ্রামের লোকজন প্রতিনিয়ত চলাচল করে। আর এ রাস্তা দিয়ে আলু সংরক্ষণ করার জন্য বড়ঘাট কোলস্টেরে যেতে হয় তাছারা ধান,তামাক,পাট,শাক সবজি সহ বিভিন্ন উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে হয় এ রাস্তাটি দিয়ে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শুস্ক মৌসুমে ধুলা বালি আর বর্ষা মৌসুমে কাদার কারনে এলাকার লোকজন কে বড়ঘাট বাজার ও কোলস্টেরে আলু সহ বিভিন্ন উৎপাদিত কৃষি ফসল বাজারজাত করতে তিন কদম, আমরুল বাড়ী এরশাদের মোড় হয়ে ৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। এছাড়া এ রাস্তাটি পাকা না করায় বর্তমানে ধুলা বালীর কারনে যাতায়াতের জন্য চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।তাছাড়া রোদ হলেই ধুলা বালি আর বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাঁদা। টগড়ার ভাঙা বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী নিত্যা নন্দ রায় বলেন, রাস্তাটি পাঁকা করা এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি কিন্তু আজও বাস্তবায়ন হয়নি। কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ডালিম চন্দ্র রায় বলেন, জনগনের চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ-ই কাঁচা সড়কে । রাস্তাটি পাকাকরণ জরুরি প্রয়োজন। পল্লী চিকিৎসক আব্দুল গফুর জানান এই আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য কাজী ফারুক কাদের এ-র সময়ে কাঁচা রাস্তাটি পাকা করনের ফাইল সিরিয়াল ১ এ ছিল। পরে সাবেক সাংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা পাকা করনের কোন ব্যাবস্থা বা উদ্দ্যোগ নেন নি ।আর বর্তমানে নীলফামারী-৩ আসনের সাংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রানা মোঃ সোহেল বিষয়টি দেখছেন। গাবরোল হাজীপাড়ার জান্নাতুল ফেরদৌস মানিক জানান, আমি ছোট বেলা থেকে বাপ দাদা দের কাছ থেকে শুনছি এ-ই কাঁচা সড়কটিকে পাকা করন করা হবে কিন্তু পাকা আর হয় না কবে যে হবে তাও জানিনা। গাবরোল পাঁচ মাথা এলাকার আব্দুস সুবান বলেন যে কোন নির্বাচন এলে প্রার্থীরা রাস্তাটি পাকা করনের উদ্দ্যোগ গ্রহন করা সহ চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন নির্বাচন শেষে কোন খবর থাকেনা। কৈমারী ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ও গাবরোল হাজীপাড়ার বাসিন্দা সাদিকুল সিদ্দিক সাদেক বলেন, এই কৈমারী ইউনিয়নে অধিকাংশ রাস্তা কাচাঁ তার মধ্যে এই গাবরোল বড়ঘাট সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ বিধায় পাকাকরন করা খুবই জরুরী।সড়কটি পাকা করলে এ এলাকার মানুষের চলাচলে উপকৃত হবে।