সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলেই নদী দখলের কর্মকা- বন্ধ হবে : সুলতানা কামাল

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

নদী রক্ষার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার তার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তাই অব্যাহত নদী দখলের ঘটনা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হলে এসব কর্মকা- বন্ধ হবে বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। গতকাল শনিবার (১৩ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিক সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। আগামী ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, জাতীয় নদী জোট ও জাতীয় নদী রক্ষা আন্দোলন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সুলতানা কামাল বলেন, ‘প্রাকৃতিক সম্পদের বড় অংশজুড়ে রয়েছে নদী। তাই এই প্রকৃতি বাঁচাতে হবে। নদী দিয়েই প্রাচীনকাল থেকে আমাদের সভ্যতা গড়ে উঠেছে। এমনকি শিল্প-সংস্কৃতিও নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। তাই অব্যাহত দখল, অবকাঠামো ও দূষণে ধ্বংসের মুখে সারাদেশের নদ-নদী-জলাশয় থেকে অবিলম্বে দখলদারদের, মাছ প্রকল্প, স্লুইচগেট, বাঁধ ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের সেতু অপসারণ করতে হবে।’ এসময় সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক নদী দিবস উপলক্ষে বেশকিছু দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো-
১. আদালতের রায়ের ভিত্তিতে সব নদীর সীমানা নির্ধারণ, নির্মোহভাবে দখলদার উৎখাত ও তা দখলমুক্ত রাখতে হবে; ২. নদী নামক জীবন্ত স্বত্তার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; ৩. নদীতে ‘বাঁধ-ব্যারেজ-রেগুলেটর বসানোর বেষ্টনী নীতি’ ভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং ‘বাংলাদেশ ডেল্টা পরিকল্পনার-২১০০’ নামের সেই একই ভুল ব্যবস্থাপনা বন্ধ করতে হবে; ৪. মৃত ও ভরাট নদী ড্রেজিং করে তার প্রবাহ ও নাব্য পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং নদীর মাটি/পাড় ইজারা দেওয়া বন্ধ করতে হবে; ৫. ভূমি মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসমূহ, নগর উন্নয়ন সংস্থাসমূহ, বি আইডব্লিটিএ ও নদী কমিশনকে দৃঢ়ভাবে নদীবান্ধব নীতি অনুসরণ করতে হবে; ৬. বাংলাদেশকে জাতিসংঘ প্রণীত পানি প্রবাহ আইন-১৯৯৭ অবিলম্বে অনুস্বাক্ষর ও সে অনুযায়ী নদীরক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে, তার ভিত্তিতে একটি আ লিক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা নীতি-কৌশল প্রণয়ন ও সব আন্তঃসীমান্ত নদীর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে; ৭. সব শিল্প কারখানায় বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট সংযোজন ও ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; ৮. শহুরে গৃহস্থালী ও হাসপাতাল বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ ও তরল বর্জ্য পরিশোধন করা সম্পূর্ণ বাধ্যতামূলক করতে হবে; ৯. নদীর ওপর কাঁচা/পাকা পায়খানা নির্মাণ বন্ধ এবং জমিতে রাসায়নিক সার-কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে; ১০. নৌ-যান নির্গত ময়লা,বর্জ্য, তেল পানিতে ফেলা নিষিদ্ধ ও নৌ-যানে তেলের পরিবর্তে গ্যাস বা সোলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। অনুষ্ঠানটি প্রয়াত সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদকে উৎসর্গ করা হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com