বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
শ্রীমঙ্গলে আগাম জাতের আনারসের বাম্পার ফলন, ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি চাষিরা ধনবাড়ীতে ৬ ওষুধ ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা শেরপুরে কানাডা প্রবাসীর জমি বেদখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন কালিয়ায় ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তি মেলা বাকাল মোহাম্মাদিয়া জামে মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান বদলগাছীতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের বাছাই কার্যক্রম নগরকান্দায় সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ গরমে স্বস্তি দিতে বাগেরহাটে বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বন্দরে যত্রতত্র পার্কিং,জ্যামে নাকাল জনজীবন, মারাত্মক দুর্ঘটনার আশংকা রায়গঞ্জে চার জয়িতার সাফল্য গাঁথা

মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর দলিল

খবরপত্র ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

মোট ছয়টি অধ্যায়ে বিভক্ত দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ-শিক্ষাবিদ রেহমান সোবহানের বাংলাদেশের অভ্যুদয়: একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য বইটি মুক্তিযুদ্ধের দলিলস্বরূপ। এই বই না পড়লে মুক্তিযুদ্ধের একটি অধ্যায় আমাদের কাছে অজানাই থেকে যাবে। বইটি প্রসঙ্গে যথার্থই বলেছেন প্রকাশক মতিউর রহমান, ‘এ বইয়ের লেখক অধ্যাপক রেহমান সোবহান আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং তার আগে-পরের ঘটনাপ্রবাহের একজন সাক্ষী হিসেবে সে সময়টিকে খুব কাছ থেকে অনুসরণ করেছেন। ইতিহাসের সেই পর্ব নির্মাণের সঙ্গেও তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। সেই অবস্থান থেকে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পটভূমি এবং যুদ্ধকালীন ঘটনাপ্রবাহের বস্তুনিষ্ঠ বিবরণ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই লেখাগুলোতে তুলে ধরেছেন।’ মতিউর রহমানের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এ বইয়ের আলোচনা করতে বসলে দেখব, রেহমান সোবহানের প্রথমা প্রকাশন প্রকাশিত বর্ধিত সংস্করণের এ বই সত্যিই বিরল গোত্রভুক্ত।

এ বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের শিরোনাম ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি’। লেখক তাঁর ভূমিকায় বলেছেন, লেখাটিকে তিনি শুধু পরিমার্জিতই করেননি, সংযোগ-বিয়োজনের মাধ্যমে বর্তমান রূপ দিয়েছেন। একে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। বস্তুত যে বাঙালি জাতির স্বায়ত্তশাসন বা তার পরের ধাপ স্বাধীনতার বীজ, ভিত্তি বা শিকড় প্রোথিত ছিল রাজনৈতিক অর্থনীতির গভীরে, লেখক রেহমান সোহবান তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন এই দীর্ঘ প্রবন্ধ মারফত। এমনকি দুই পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্যের ছবি তুলে ধরতে গিয়ে যেসব সারণি ব্যবহার করেছেন তিনি, পরিসংখ্যান মারফত যেসব তথ্য তুলে ধরেছেন, তার পাঠ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে দুই পাকিস্তানের এক নাড়ির বন্ধনে আবদ্ধ থাকার কোনো সুযোগই ছিল না। এই নিবন্ধের উপ-অধ্যায়গুলোর শিরোনাম থেকেই তার কিছুটা আঁচ করা যাবে। যেমন ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা নিরূপণ’, ‘অর্থনৈতিক বঞ্চনা’, ‘কতিপয় ধারণাগত প্রশ্ন’, ‘আঞ্চলিক হিসাবে পৃথক্‌করণ’, ‘অর্থনৈতিক বৈষম্যের হিসাবনিকাশ’, ‘কাঠামোগত পরিবর্তনে ভিন্নতা’, ‘জীবন মানের বৈষম্য’, ‘অঞ্চলগুলোর উত্তরাধিকার’, ‘উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ব্যবসায়ী শ্রেণি’, ‘বাজার শক্তিগুলোর ভূমিকা’ ইত্যাদি। দীর্ঘ প্রথম অধ্যায়ে দুই পাকিস্তানের মধ্যকার চরম অর্থনৈতিক বৈষম্যের চালচিত্র তুলে ধরার পর রেহমান সোবহান ইতিমধ্যে জেগে ওঠা বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রসঙ্গ টেনে এই মর্মে উপহার টানছেন যে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার পর পাকিস্তান রাষ্ট্র বুঝতে পারে যে এই নেতৃত্বকে কিনে ফেলা যাবে না।’ সত্যিই সেটা তারা কোনোভাবেই পারেনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com