ব্রাউজারের ইনকগনিটো মোড বা সিক্রেট মোডের সঙ্গে আমরা সবাই খুব ভালোভাবেই পরিচিত। এখনকার মডার্ন সব ডেক্সটপ ব্রাউজার এবং স্মার্টফোন ব্রাউজারেই ইনকগনিটো মোড থাকে। যখন ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত কোনো উদ্দেশ্যে কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করি বা এমন কোনো সংবেদনশীল বিষয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করি, আমরা চাই সেটি যেন দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি দেখতে না পায়। আর সে উদ্দেশ্যেই ব্রাউজারের ইনকগনিটো মোড বা ইনকগনিটো ট্যাব ওপেন করি। সেখানে সব ব্যক্তিগত ব্রাউজিংয়ের কাজ শেষ করি এবং কাজ শেষে ইনকগনিটো উইন্ডোটি বা ট্যাবটি ক্লোজ করে দিই আর নিশ্চিত থাকি যে আমরা যা ব্রাউজিং করলাম, সেটি আমরা নিজেরা ছাড়া আর কেউ জানতে পারবে না।
তবে অভিযোগ উঠেছে, ইনকগনিটো মোড সচল করলেও ব্যবহারকারীর ওপর নজর রাখছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এক বিচারক গত শুক্রবার বলেছেন, এ জন্য গুগলকে ‘ক্লাস অ্যাকশন’ মামলার মুখোমুখি হতে হবে। গত বছরের জুনে তিন ব্যবহারকারী গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাদের অভিযোগ ছিল, ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে বিশাল ব্যবসায় পরিচালনা করে গুগল। এমনকি ব্যবহারকারী নিজের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিলেও (ইনকগনিটো মোড) নজরদারি বন্ধ করছে না প্রতিষ্ঠানটি। মামলায় অন্তত ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
গুগল এতো সহজে এ অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, ব্যবহারকারীরা গোপনতা নীতিতে সম্মতি দিয়েছে, এবং এ কারণে আগে থেকেই জানার কথা যে গুগল ডেটা সংগ্রহ করছিল। তারা বরাবরই সতর্ক করেছে, “ইনকগনিটো মানে অদৃশ্য নয়,” এবং সাইট তাদের কর্মকাণ্ড দেখতে পাচ্ছে।