কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের বড়চেগ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে সিএনজি-অটো চালক জলিল মিয়া(২৬) কে ছুুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে কমলগঞ্জ উপজেলায় ২২ মার্চ সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সব ধরণের যানচলাচল বন্ধ রেখে ভানুগাছ চৌমুহনায় সহ¯্রাধিক সিএনজি-অটো চালক ও পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। আর এ কর্মসূচিতে পিতা হত্যার বিচারের দাবীতে অংশ নেয় নিহত জলিলের শিশু পুত্রও। এসময় সড়কের দুই পাশে অসংখ্য গাড়ি আটকা পড়ে, এতে ভোগান্তিতে পরেন সাধারণত যাত্রীসহ শতশত পথচারিরা। শমশেরনগর-কমলগঞ্জ শ্রমিক সমম্বয় কমিটির আয়োজনে সোমবার ভানুগাছ চৌমুহনা চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় সড়কে চলাচলকারী যানবাহন না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসাধারণ। কর্মসূচী চলাকালে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। বেলা ১১ টায় ভানুগাছ চৌমুহনা চত্ত্বরে সিএনজি-অটো চালক শ্রমিক ইউনিয়ন মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সেলিম এর পরিচালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা কমিটির সভাপতি পাভেল আহমদ। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন আলমাছ মিয়া, আনোয়ার মিয়া, সারফিন মিয়া, সিরাজ মিয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সভা থেকে দ্রুত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় বৃহত্তর কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি ঘোষনা করা হয়। বিক্ষোভ বক্তারা বলেন, সিএনজি-অটো চালক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জলিল মিয়া(২৬) কে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হলেও ঘটনার ১৮দিনেও পুলিশ মূল আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে অবরোধের সুযোগে কেউ যেন কোন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ ছিলো কঠোর অবস্থানে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ। উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায় শমশেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে গ্যাস ভর্তি নিয়ে কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনার সময় ছুরিকাঘাতে সিএনজি-অটো চালক জলিল মিয়া প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত চালকের বড় ভাই কাশেম মিয়া বাদি হয়ে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া শফি, তার দুইভাইসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত চালক জলিল মিয়া আলীনগর ইউনিয়নের আলীনগর বস্তির মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস মিয়া ওরপে লাল মিয়ার সন্তান। কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ মামলায় পুলিশ ইতিপূর্বে এজাহারভূক্ত দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী জোর তৎপরতা চলছে।