আমার চার দিকে ষড়যন্তের আবাস পাচ্ছি। লাইভে এসে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। বসুরহাট পৌরসভায় তার নিজ কার্যালয়ে বসে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে তিনি এই কথা গুলো বলেন। এ সময় কাদের মির্জা বলেন, ‘এখনো এখানে পুলিশি তা-ব চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে আমাকে চারদিকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে আমাকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। আমি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি, গত সংসদ নির্বাচনে যেভাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রাতের অন্ধকারে তার বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে সিএমএইচে অসুস্থ বলে ভর্তি করা হয়েছিল। আমার বিষয়েও সে ধরনের একটা ষড়যন্ত্র চলছে আমাকে রাজনীতি ও জনগন থেকে দুরে সরানোর জন্য। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসী ও জনগণকে জানাচ্ছি এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমি সাথে সাথেই আত্মহত্যা করব। সকল ষড়যন্ত্রের হোতা ওবায়দুল কাদের, তার স্ত্রীর প্ররোচনায় করছে সব। আমি স্পষ্ট করে বলছি আমি কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করব না। মেরে ফেলবেন, জেলে দেবেন, লাঞ্ছিত করবেন, আর কী বাকী আছে।’ কাদের মির্জা বলেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জের কৃতি সন্তান বিএনপি নেতা ব্যারিষ্মটার মওদুদ আহমদের শোকসভা বন্ধ করে দেওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখান কার নেতা যিনি মওদুদ, তিনি ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর সংবিধান প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সেই মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিত্রার্থ করা ঠিক হয়নি বলে মনে হয়, আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবে। কাজটি প্রশাসনের মাধ্যমে কে বা কারা করেছেন, সেটা আপনারা খবর নেন আমি জনগণের উপর ছেড়ে দিলাম। এই সংস্কৃতি যদি বাংলাদেশে চলতে থাকে, তাহলে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা কি এই জন্য দিয়েছেন? আমার প্রশ্ন। অপরাজনীতি, দুর্নীতি, ভোট চুরি এগুলোর জন্য কি বঙ্গবন্ধু এই দেশ স্বাধীন করেছেন? কথা বলতে হবে সবাইকে। শুরু হয়েছে, তরুণদের মধ্যে আজ চেতনার সৃষ্টি হচ্ছে।’ বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘দুর্ভাগ্য, হয়তো আমাকে কেউ পছন্দ করছেন না, আমি সত্য কথা বলাতে।তবে এটাই হচ্ছে আসল কথা। কী করবেন করেন যা করার করবেন, দেরি করছেন কেন? পুলিশ দিয়ে আমার আমেরিকান ভার্সীটিতে পড়ুয়া ছেলের বিরুদ্ধে মামলা এবং আমার সমর্থীত ছেলেদের বাড়িতে বাড়িতে তল্যাশি ও অত্যাচার করছে, অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে মামলা দিচ্ছেন আর কি বাকি আছে। ওবায়দুল কাদের এবং তার স্ত্রী বলে দিয়েছেন প্রশাসনকে, যে তাঁর (কাদের মির্জা) সঙ্গে যাতে চারদিকে কোন লোক জন না থাকে, সে ব্যবস্থা করো। তারা সেই ভাবে করছে। কাদের মির্জা বলেন, এটা কী দেশ? এটা কী আইন? আজ কি বাংলাদেশে মানবাধিকার সংস্থা নেই? বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা আজ কোথায়? আমি প্রশ্ন করতে চাই সবায়কে।