শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ-বেত শিল্প

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি বাঁশ শিল্প। এক সময় গ্রামের গৃহস্থালী কাজে বাঁশ ও বেতের তৈরী আসবাবপত্রের ব্যাপক ব্যবহার থাকলেও বর্তমানে আধুনিক সমাজে এর ব্যবহার একেবারেই কমে গেছে। এজন্য বাজারে বাঁশ ও বেতের তৈরী আসবাবপত্রের চাহিদা না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি বাঁশ ও বেত শিল্প। বাঁশ ও বেত শিল্পিরা জীবিকা নির্বাহের জন্য তাদের বাব-দাদার আদিপেশা ছেড়ে দিয়ে এখন নতুন পেশায় ধাপিত হচ্ছে। এখনও যারা পূর্ব পুরুষের রেখে যাওয়া আদিপেশা ধরে রয়েছেন তাদের জীবিকা চলে কোনো রকমে। জানা যায়, বর্তমানে স্বল্প দামে হাতের নাগালে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়ায় কুটির শিল্পের চাহিদা আর তেমন নেই। তাছাড়াও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ ও বেত। এখন আর আগের মতো বাড়ির আশেপাশে বাঁশ ও বেত গাছ রাখছে না কেউ। সেগুলো কেটে বিভিন্ন চাষাবাদসহ দালান তৈরি করছে মানুষ। তাই কাঁচামাল আর আগের মতো সহজেই পাওয়া যায় না। তবে এখনো গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশ ও বেতের তৈরি খোল, চাটাই, খোলুই, ধামা, টোনা, পালল্টা, মোড়া, দোলনা, বুক সেল্ফ কদাচিৎ চোখে পড়ে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদর বিবিরহাট বাজারের হাতিপুলের পাশে বসে প্রাচীর এই তৈজসপত্রে হাট।এই হাটে গেলেই চোখে পড়বে হাতের তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের তৈজসের পসরা।উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তর থেকে কারিগররা তাদের তৈরিকৃত পণ্য নিয়ে সপ্তাহের দুইদিন আসেন এই হাটে।তবে সপ্তাহের বাকিদিন গুলোতেও এখানকার কিছু স্থায়ী দোকানেও পাওয়া যায় এসব তৈজসপত্র।দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেপারীরা আসেন এ হাটে।এ হাট থেকে পাইকারীতে ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে নিয়ে বিক্রি করেন।বেশ চাহিদা রয়েছে এ অঞ্চলের এসব তৈজসপত্রের। আব্দুর রহমান নামে এক ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি জানায়, ‘’আমি প্রতি বছর ধান কাটার সময় নতুন ঢাকী, কুলা কিনে থাকি। ধান মাড়াই থেকে শুরু করে বস্তায় ভরা পর্যন্ত এসব প্রয়োজন হয়।’’ বিবিরহাটে বাঁশ-বেত শিল্প বিক্রি করতে আসা ষাটোর্ধ আহমদুল হক বলেন, বেত শিল্পের দুর্দিনে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক পরিবার বেতশিল্পকে আঁকড়ে ধরে আছেন। অনেকে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় গেলেও পূর্ব পুরুষের হাতেখড়ি এই পেশাকে কিছুতেই ছাড়তে পারেননি তারা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com