কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ধরলা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রনসহ তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের জিও ব্যাগ ভর্তি করছে ঠিকাদাররা। নদীর তলদেশে ডিজাইন লেবেলিংয়ের নামে নিয়মবর্হিভুত ভাবে বাধ নির্মানের স্থানেই অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ভর্তি করা হচ্ছে হাজার হাজার জিও ব্যাগ। ফলে ভবিষ্যতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধসহ ডান ও বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের স্থায়ীত্ব নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম সংশয় দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম পওর বিভাগের বাস্তবায়নে ৫৪ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে ধরলা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধসহ বাম ও ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ মার্চ/২১ মাসে শুরু হয়। উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের সোনাইকাজী এলাকা থেকে বড়ভিটা ইউনিয়নের সাহেববাজার পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এ বাধটি নির্মানের জন্য আলাদা ভাবে পাঁচটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়োজিত করে কর্তৃপক্ষ। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ধরলানদী তীরবর্তী হাজার হাজার মানুষ ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাবে। বন্যার কবল থেকে বেঁচে যাবে ধরলার তীরবর্তী হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল। জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে ধরলার দুই তীরবর্তী হাজারও মানুষের। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রকল্পের ঠিকাদাররা বাধ নির্মানের স্থানে একাধিক অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে জিও ব্যাগ ভর্তি করছে। এতে নদীর তলদেশে সৃষ্টি হচ্ছে বিশাল বিশাল গর্ত। বন্যার সময় বাধ ভেঙ্গে বস্তা, ব্লক ড্রেজার মেশিনের সৃষ্ট গর্তে চলে যাওয়ার আশংকা করছেন তারা। সোনাইকাজী গ্রামের বাসিন্দা শাহজালাল, মজিবর ও নুরল হক জানান, অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর তলদেশ সমান হয় এটা কোনদিন শুনি নাই বাহে। সেই জন্যে যে জাগাত (জায়গায়) বাধ হইবে, সেটি থাকি বালা (বালু) তুলবার বাদা (নিষেধ) করচি। কিন্তু কার কতা (কথা) কাই (কে) শোনে। ঠিকাদারের লোকজন ড্রেজার মেশিন দিয়া দিনরাত বালা তুলি বস্তা ভর্তি কইরবার নাইগছে (করছে)। এইভাবে ড্রেজার দিয়া বালা তুলি খাল কইরলে (করলে) বন্যার সময় বস্তা, ব্লক ও সরকারের কোটি কোটি টাকা সউগ (সব) ওই খালোত চলি যাইবে। এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোডের্র নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, নদীর তলদেশে ডিজাইন লেবেল করতে যতটুকু খনন করা প্রয়োজন ততটুকু করতে পারবে। কিন্তু ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে জিও ব্যাগ ভর্তি করার নিয়ম আছে কিনা তা প্রশ্ন করা হলে, তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।